ড. মযহারুল ইসলাম ছিলেন বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০১ ডিসেম্বর ২০২২, ০৮:০৩ পিএম

জহুরুল ইসলাম, শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) থেকে: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি বলেছেন, ‘ড. মযহারুল ইসলাম ছিলেন, বহুমাত্রিক প্রতিভা ও সৃজনশীল ব্যক্তিত্বের অধিকারী। ফোকলর গবেষণায় তিনি ছিলেন অগ্রপথিক। পাশাপাশি তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর ও একজন সফল রাজনীতিবিদ।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ হৃদয়ে ধারণ করে দেশকে ভালোবাসতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলতেন, মানুষকে ভালোবাসলে সে তোমার জন্য জীবন দিতেও কুণ্ঠবোধ করবে না। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ হৃদয়ে ধারণ করে যারা মামলা-হামলা, জেল-জুলুম, ভয়-ভীতি ও লোভ-লালসার কাছে আত্মসমর্পন করেননি প্রয়াত ড. মাযহারুল ইসলাম ছিলেন তাদের মধ্যে একজন। তিনি বার বার জেল-জুলম ও অত্যাচারের শিকার হয়েও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে একচুলও বিচ্যুত হননি। বরং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করাবস্থায় ৭৫’র ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু স্ব-পরিবারে নিহত হওয়ার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়।’

বৃহস্পতিবার বিকেলে শাহজাদপুর রবীন্দ্র কাছাড়িবাড়ি অডিটোরিয়ামে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. মযহারুল ইসলামের ১৯ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি।

প্রয়াত মযহারুল ইসলামের পরিবারের পক্ষ থেকে এ স্মরণসভার আয়োজন করা হয়। স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন, প্রয়াতের বড় মেয়ে ও সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) আসনের সংসদ সদস্য প্রফেসর মেরিনা জাহান কবিতা। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রয়াতের ছেলে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক এমপি চয়ন ইসলাম।

স্মরণ সভার সভাপতি সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) আসনের সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য প্রফেসর মেরিনা জাহান কবিতা বলেন, ‘ড. মযহারুল ইসলাম ছিলেন আমার বাবা। তিনি ছিলেন অসীম আকাশের মতো। শত প্রলোভন ও নির্যাতনেও তিনি বঙ্গবন্ধু’র আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি। আমার বাবা ছিলেন লী ও স্মরস্বতীর বরপুত্র! শিক্ষার পাশাপাশি ব্যবসাতেও তিনি সফল ছিলেন। বঙ্গবন্ধু স্বপরিবারে নিহত হবার পর আমার বাবা প্রতিবাদ করায় তাকেও গ্রেফতার করা হয়। পরে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে ৬ বছর তিনি প্রবাসে জীবনযাপন করেন এবং ভারতের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করেন।’

স্মরণ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ আজম, সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদ ও সাবেক এমপি সেলিনা বেগম স্বপ্না। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রফেসর আজাদ রহমান, বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী লিলি ইসলাম, মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক ড. জান্নাত আরা হেনরী, উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি স্বপন সরকার, যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক মুস্তাক আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির টিপু, যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আসাদুল্লাহ তুষার, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মারুফ হোসেন সুনাম প্রমূখ।

এ ছাড়াও ওই স্মরণ সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া আফরিন, সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শাহজাদপুর সার্কেল) হাসিবুল ইসলাম, সহকারি কমিশনার (ভূমি) লিয়াকত সালমান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য সুমগ্ন করিমসহ দলের বিভিন্নস্তরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। স্মরণসভার শুরুতে ‘আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে’ নৃত্য পরিবেশন করেন নৃত্যলোকের শিল্পীবৃন্দ। সভায় বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: