ইয়াবা দিয়ে পুলিশের ছেলেকে ফাঁসাতে গিয়ে ফাঁসলেন ৩ কনস্টেবল

প্রকাশিত: ০১ ডিসেম্বর ২০২২, ০৮:৪০ পিএম

সম্প্রতি সিলেটে এক কলেজছাত্রকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের তিন কনস্টেবলকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্তকৃত পুলিশ সদস্যরা হলেন, মো. ঝুনু হোসেন জয়, ইমরান মিয়া ও মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। এরা এসএমপির পুলিশ লাইনে কর্মরত ছিলেন। আর ভুক্তভোগী সিলেট শহরতলির মেজরটিলা এলাকার বাসিন্দা ও পুলিশ সদর দপ্তরের পিআইও শাখায় কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক আবু সায়েদের ছেলে সাইফুর রহমান আসাদ (১৮)।

একাধিক পুলিশ সূত্র জানায়, গত ১৩ অক্টোবর অনলাইনে নিজের পুরনো একটি মোবাইল ফোন ১৬ হাজার টাকায় বিক্রি করেন আসাদ। সেই ফোন বিক্রির টাকা নিতে ওইদিন সন্ধ্যার পর এক বন্ধুকে সাথে নগরীর বন্দরবাজার এলাকায় যান তিনি। মোবাইল বিক্রির টাকা নিয়ে তারা দুজনে যান শাহজালাল (রহ.) মাজার এলাকায়। সেখানে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর তিন পুলিশ সদস্য এসে আসাদ ও তার বন্ধুকে জাপটে ধরেন।

এসময়  তারা তাদের সঙ্গে থাকা একটি ব্যাগ তল্লাশি করে ইয়াবা পেয়েছেন বলে দাবি করেন। তখন আসাদ এর প্রতিবাদ করেন এবং পুলিশে কর্মরত তার বাবার পরিচয়ও দেন। সিলেট শহরতলীর মেজরটিলা এলাকার বাসিন্দা ও পুলিশ সদর দপ্তরের পিআইও শাখায় কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক আবু সায়েদের ছেলে সাইফুর রহমান আসাদ (১৮)। বিষয়টি তিনি তার বাবাকে জানান। খবর পেয়ে শাহপরান থানায় কর্মরত এসআই জামাল ভুঁইয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে আসাদ ও তার বন্ধুকে নগরীর কোতোয়ালী থানায় নিয়ে যান। সেখানে মুচলেকা রেখে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

পরবর্তীতে ওই কলেজছাত্র তাকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্ঠার অভিযোগ দায়ের করেন এসএমপিতে। এর পরিপ্রেক্ষিতে এসএমপি পুলিশ লাইনের এডিসি (ফোর্স) সালেহ আহমদকে ঘটনাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি গত ২৪ নভেম্বর প্রতিবেদন দাখিল করেন। তদন্তে তিন কনস্টেবলের অপকর্মের বিষয়টি বেরিয়ে আসে। এরপরই তাদের তিনজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

ঘটনামহানগর পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) সুদীপ দাস বিষয়টি গনমাধ্যমে নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, পুলিশ লাইনের এডিসির তদন্তে এ তিন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। এখন তাদেরকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাসহ যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: