৪ শতাধিক শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা দিতে না দেওয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত: ০২ ডিসেম্বর ২০২২, ০৬:৫৪ পিএম

মোতালেব হোসেন,বড়াইগ্রাম (নাটোর) থেকে: নাটোরের বড়াইগ্রামে ৪ শতাধিক শিক্ষার্থীকে বার্ষিক সমাপনী পরীক্ষার হল থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার উপজেলার বড়াইগ্রাম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এ ঘটনা ঘটে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ-বেতন বকেয়া থাকায় প্রধান শিক্ষক নবম শ্রেণি ছাড়া সব শ্রেণির শিক্ষার্থীদের খাতা ও প্রশ্ন কেড়ে নিয়ে হল থেকে বের করে দেন। এমনকি যেসব শিক্ষার্থী বেতন পরিশোধ করেছে-তাদেরও পরীক্ষায় অংশ নিতে দেওয়া হয়নি।

নাহিদ উদ্দিন নামের এক শিক্ষার্থী বলেছে, ‘বৃহস্পতিবার পরীক্ষার রুটিন অনুযায়ী সকাল ১০টায় ৬ষ্ঠ, ৭ম, ৮ম ও ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরু হয়। এর পর আকস্মিক প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমান পরীক্ষার হলে এসে কোন কোন শিক্ষার্থীর বেতন পরিশোধ করেনি জানতে চান। এ সময় বেশ কয়েকজন পরীক্ষার্থী বেতন বকেয়া আছে বলে স্বীকার করে। এতে রাগান্বিত হয়ে প্রধান শিক্ষক খাতা ও প্রশ্ন কেড়ে নিয়ে সব পরীক্ষার্থীকে হল থেকে বের করে দেন।’

অভিভাবক রঞ্জিত কুমার কণ্ডু বলেন, ‘যেসব পরীক্ষার্থীর বেতন বকেয়া রয়েছে তাদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া যেত। এ ক্ষেত্রে যাদের বেতন পরিশোধ করা রয়েছে তাদের পরীক্ষা দিতে না দেওয়া উচিত হয়নি। এ ছাড়া বেতন আদায় করার জন্য এ রকম আচরণ রীতিমতো স্বেচ্ছাচারিতা ও আপত্তিকর।’

বিদ্যালয়ের আইসিটি শিক্ষক লাভলী বেগম বলেন, ‘খাতা ও প্রশ্ন বিতরণের আগে যদি প্রধান শিক্ষক পরীক্ষা না নিতে নির্দেশ দিতেন তাহলে হয়তো ঠিক হতো। এখন প্রশ্ন বাইরে চলে গেছে এবং আমাদের সারা দিন পরিশ্রম করে আবার প্রশ্ন তৈরি করতে হচ্ছে। এতে অর্থের অপচয় হলো।’

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমান এই বিষয়ে বলেন, ‘আমাদের তিন শতাধিক শিক্ষার্থী বেতন, পরীক্ষা ফি পরিশোধ করেনি। শেষ পরীক্ষা দিনেও তারা পরিশোধ করেনি। তাই পরীক্ষা একদিন পিছিয়ে রোববার করা হয়েছে।’

বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, প্রধান শিক্ষকের ভাগনি জামাই ও সহকারী প্রধান শিক্ষিকা নাজনীন সুলতানার স্বামী আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘অধিকাংশ শিক্ষার্থীর বেতন বকেয়া রয়েছে। তাদের মানসিক চাপের কথা চিন্তা করে পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করে রোববার করা হয়েছে।’

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: