গণসমাবেশ বানচাল করতেই নয়াপল্টনে ককটেল বিস্ফোরণ: রিজভী

প্রকাশিত: ০৩ ডিসেম্বর ২০২২, ১১:৩০ পিএম

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশ বানচাল করতেই সন্ধ্যায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছ শনিবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ১০ ডিসেম্বর নিয়ে যতই নীল নকশা আঁকা হোক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তা প্রতিহত করে নয়াপল্টনের গণসমাবেশকে সাফল্যমণ্ডিত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

রিজভী বলেন, সরকারের নির্দেশিত গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর যৌথ প্রযোজনায় দুষ্কৃতিকারীরা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। আওয়ামী সরকার টিকে থাকার জন্য ‘মরণকামড়’ দিতে চাচ্ছে। কিন্তু ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী মানুষের মনের কথা উপলব্ধি করতে পারছে না।

তিনি বলেন, কিছুক্ষণ আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন— নয়াপল্টনে যারা জমায়েত হবে তাদের গ্রেফতার করা হবে। সুতরাং এ গ্রেফতারের প্রেক্ষাপট তৈরি করার জন্যই ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। কয়েকদিন ধরে নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জে ককটেল বিস্ফোরণ ও আগুন সন্ত্রাসের সূত্রপাত করা হয়েছে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, পুলিশের আইজি বলেছেন বিএনপিকে যেখানে অনুমতি দেওয়া হয়েছে সেখানেই সমাবেশ করতে হবে। অর্থাৎ পুলিশ প্রধান আওয়ামী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়েই কথাবার্তা বলছেন। তিনি কোনো ন্যায়নীতি পরোয়া করছেন না। নিষ্ঠুর কর্তৃত্ববাদী আওয়ামী দুঃশাসনের সেবক হিসেবে তিনি কাজ করছেন। সেজন্য নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে পরিকল্পিত ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গণগ্রেফতারের অভিযান চালানো হচ্ছে।

বিএনপির এ নেতা বলেন, গত তিনদিনে এ পর্যন্ত ৫৩৬, আজ দুপুর পর্যন্ত ২৪০, দুপুর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত তিনদিনে ৭৮৩ জনের অধিক দেশব্যাপী গ্রেফতার ও মিথ্যা মামলা দায়েরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে দায়ের করা বানোয়াট মামলা প্রত্যাহার ও তাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: