খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত: ০৬ ডিসেম্বর ২০২২, ১০:৪২ পিএম

চলতি বছরের গত ৮ অক্টোবর খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের নবনির্মিত ভবনের নির্মাণাধীন পোর্চ ভবন ধসে ২জন শ্রমিক নিহত ও আরও ৫ শ্রমিক আহত হন। এ ঘটনায় প্রায় ২মাস পর খাগড়াছড়ি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন দূর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের সর্দার (মাঝি) জালাল খান।

মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে খাগড়াছড়ি পৌর সদরের শালবন এলাকার সুরাজ খানের ছেলে জালাল খান বাদী হয়ে জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (আমলি) আদালতে পিটিশন দিলে বিচারক মো. ফরিদুল আলম এজাহার হিসেবে গণ্য করার জন্য সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।

মামলায় আসামি করা হয়েছে- খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা টিটন খীসা, জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী তৃপ্তি শংকর চাকমা, চট্টগ্রামের ঠিকাদার সেলিম ও সাব-ঠিকাদার প্রাণতোষ প্রকাশ প্রানন্ত বাবু।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট বেদারুল ইসলাম জানান, 'বাদী জালাল খান মূলত জেলা পরিষদের ভবন ধসের দূর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত একজন ব্যাক্তি। তিনি শ্রমিকদের মাঝি ছিলেন। আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অবহেলা করে হত্যাকাণ্ড সংগঠনসহ নিহত ও আহত শ্রমিকদের অপূরণীয় ক্ষতিসাধন করে ফৌজদারি অপরাধ করেছে। তাদের শাস্তি দাবি করে বাদী বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগ দিয়েছে। আদালত ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫৬(৩) ধারা মতে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে দায়ের করার নির্দেশ দেন।'

বিষয়টি নিশ্চিত করে খাগড়াছড়ি আদালতের ইন্সপেক্টর জাহাঙ্গীর আলম বলেন, 'জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ৫জনকে আসামি করে শ্রমিকদের সর্দার আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটি আমলে নিয়ে বিজ্ঞ আদালত একটি মৌখিক আদেশ জারি করেছেন। আগামীকাল আমরা এটি লিখিত আকারে পেতে পারি। লিখিত আদেশ পেলে আমার এটি এজাহার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে সদর থানায় প্রেরণ করবো।'

উল্লেখ্য, চলতি বছরের গত ৮ অক্টোবর খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের নবনির্মিত ভবনের নির্মাণাধীন পোর্চ ভবন ধসে ২ জন শ্রমিক নিহত ও আরও ৫ শ্রমিক আহত হন। মৃত এক শ্রমিক খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার সবুজবাগ এলাকার আমিনুল ইসলামের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন (২২), অপরজন হচ্ছেন বাগেরহাট জেলার চিতলমারী থানার কালিগাতি এলাকার সোহরাব শিকদারের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২২)। আহতরা হলেন, খাগড়াছড়ি সদরের শালবন এলাকার মৃত আবদুস সামাদের ছেলে রোকন (৩৮), আবদুস সালামের ছেলে হানিফ মিয়া (২৫), মোসলেহ উদ্দিনের ছেলে সোহেল (২০), থলিপাড়ার এলাকার লালু চান মিয়ার ছেলে হাসান (২৪), মাটিরাঙ্গার আবদুল খালেকের ছেলে হানিফ (২০)।

এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ। এই প্রতিবেদন ৭ কার্যদিবসের মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশনা থাকলেও প্রায় ২ মাস গড়ালেও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে কোন তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়নি।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: