প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় দশ হাজার নেতাকর্মী নিয়ে যোগ দিলেন টিপু সুলতান

প্রকাশিত: ০৭ ডিসেম্বর ২০২২, ০৫:৪১ পিএম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাবেক ছাত্রনেতা টিপু সুলতানের উদ্যোগে প্রায় দশ হাজার নেতা কর্মী নিয়ে সমাবেশে যোগ দিয়েছেন। আজ বুধবার (৭ ডিসেম্বর) সৈকতের লাবণী পয়েন্টে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের জনসভায় সমবেত হন নেতা কর্মীরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে টিপু সুলতান বলেন, আমর ঝিলংজা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল সহকারে জনসভাস্থলের মাঠে প্রায় দশ হাজার নেতা কর্মী নিয়ে সমাবেশে যোগ দিয়েছি। বঙ্গবন্ধু কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে ঝিলংজাসহ সদরের নেতা কর্মীরা উজ্জীবিত।

আজ প্রধানমন্ত্রীর বার্তা নিয়ে ঘরে ফিরছে নেতা কর্মীরা। আগামীতেও আমরা এভাবেই মাঠে থাকবো। ‘ঝিলংজার মাটি শেখ হাসিনার ঘাটি’, এটা কথা কিংবা স্লোগানে নয় আমরা কাজে প্রমাণ করেছি।

সর্বশেষ বৈশ্বিক করোনা মহামারীতে জননেত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে আমি আমার সাধ্যের সবটুকু দিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। আগামী নির্বাচনেও দলের নির্দেশনা বাস্তাবায়নে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাবো।

বুধবার সকালে বঙ্গোপসাগরে ইনানী অংশে অনুষ্ঠিত ৩০ বন্ধু প্রতিম দেশের অংশগ্রহণে তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক নৌ শক্তি মহড়া উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। বিকেলে কক্সবাজার শহরের বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন। জনসভার সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। পুরো কক্সবাজার শহর ছেয়ে-গেছে ব্যানার, ফেস্টুন ও তোরণে।

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। দলীয় নেতাকর্মীরা আশা করছেন, এবারের জনসভাটি স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জনসমাগমে পরিণত হবে। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে ভ্যানে নৌকা নিয়ে সারা শহর প্রদক্ষিণ করেছে প্রাক্তন ছাত্রলীগ পরিষদ।

সংশ্লিষ্টদের দেওয়া তথ্য মতে, প্রধানমন্ত্রী দলীয় জনসভায় ২৮টি বাস্তবায়িত উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং নতুন কয়েকটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।

প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যোগ দিতে স্ব-প্রণোদিত হয়ে অপেক্ষা করছে উপজেলা ও উপকূলের হাজারো নেতাকর্মী এবং শ্রমজীবী। গৃহহীন যারা ঘর পেয়েছেন, বয়স্কভাতা যারা পেয়েছেন, লবণের ন্যায্যমূল্য পাওয়া চাষি পরিবারের লোকজন কৃতজ্ঞতা ও প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি একনজর দেখতে সভাস্থলে যেতে প্রস্তুতি নিয়েছেন।

চলমান প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে নতুন করে একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে ৫০০ শয্যার হাসপাতাল সংযুক্তিকরণ, কক্সবাজারের সাথে মহেশখালী উপজেলার সংযোগ সেতু ও বাঁকখালী নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল নির্মাণ, কুতুবদিয়া মগনামায় ফেরি সার্ভিস চালুকরণ, কক্সবাজার পর্যটন গবেষণা ইনস্টিটিউট, চার লেনের মেরিন ড্রাইভ সড়ক, ছয় লেনের কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, কক্সবাজার সিটি করপোরেশন, কক্সবাজার সিটি কলেজকে সরকারিকরণের দাবি জানানো হবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে।

কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নজিবুল ইসলাম বলেন, মহেশখালী দ্বীপ, কুতুবদিয়া, পেকুয়া ও চকরিয়া থেকে হাজারো মানুষ প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে এবং তার ভাষণ শুনতে মঙ্গলবার বিকেল ও রাতে কক্সবাজার চলে এসেছেন। আশপাশের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ সকাল থেকে আসতে শুরু করেছেন।

কক্সবাজার সদর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. রেজাউর রহমান রেজা বলেন, না চাইতেই প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারবাসীকে অনেক কিছু দিয়েছেন। কৃতজ্ঞতা জানানোর মাধ্যম হিসেবে এবারের জনসভায় সর্ববৃহৎ জনসমাগম ঘটেছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: