পটুয়াখালী হানাদার মুক্ত দিবস স্মরণে আলোর মিছিল

প্রকাশিত: ০৮ ডিসেম্বর ২০২২, ১১:৩৫ পিএম

১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক শহীদ আলাউদ্দীন শিশু পার্কে স্বাধীন দেশের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে পাক হানাদার মুক্ত হয় পটুয়াখালী। পটুয়াখালী পাক হানাদার মুক্ত দিবস স্মরণ করে প্রতি বছরের মতো এ বছরেও দিবসটি পালনের লক্ষ্যে আলোর মিছিল করেছে পটুয়াখালীর সাংস্কৃতিক কর্মীরা।

আজ বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সুন্দরম মুক্ত মঞ্চ থেকে আলোর মিছিল বের করে পটুয়াখালীর স্থানীয় সাংস্কৃতিক সংগঠন সুন্দরম,পটুয়া খেলাঘর আসর ও জেলা বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা। আলোর মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।

মিছিল পরবর্তী পথসভায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মানস কান্তি দত্তের সভাপতিত্বে ও সুন্দরমের সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম প্রিন্সের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি স্বপন ব্যনার্জী, বীর মুক্তিযোদ্ধা নির্মল কুমার রক্ষিত। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাদল ব্যনার্জি, শাহজাহন চৌধুরী সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মীরা।

মুক্তিযোদ্ধা,শহীদ পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৯৭১সালের ২৬ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টায় পাকহানাদার বাহিনীর অতর্কিত বিমান হামলায় বিধ্বস্ত হয় পটুয়াখালী। নির্বিচারে চলে গনহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ। ভারতে প্রশিক্ষন শেষে মুক্তিযোদ্ধারা সংগঠিত হয়ে হামলা চালাতে থাকলে ১৮ নভেম্বর সাবেক সিইসি কেএম নুরুল হুদার নেতৃত্বে গলাচিপা উপজেলার পানপট্টিতে পাকহানাদার বাহিনীর সাথে মুক্তিবাহিনীর সম্মুখ যুদ্ধ হয়। এতে ৭ পাক সেনা নিহত হয় এবং আহত হয় আরও বেশ কয়েকজন। পরিস্থিতি বুঝে সেখান থেকে পালিয়ে পটুয়াখালী জেলা শহরে শক্তিবৃদ্ধি করে পাকসেনারা। পানপট্টি যুদ্ধে বিজয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবল বেড়ে যায় শতগুন। তারা জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে শুরু করে।

মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমনে ৭ ডিসেম্বর হানাদার বাহিনী কোনঠাসা হয়ে পড়ে। সকলের অগচরে ঐ রাতেই একটি লঞ্চে করে পটুয়াখালী থেকে পালিয়ে যায় পাক বাহিনী। ৮ ডিসেম্বর সকালে মুক্ত হয় পটুয়াখালী। মুক্তিযোদ্ধারা বিভিন্ন এলাকা থেকে জেলা শহরে প্রবেশ করতে শুরু করে। মির্জাগঞ্জ থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে এসে ঐতিহাসিক শহীদ আলাউদ্দীন শিশু পার্কে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন মুক্তিযোদ্ধা আলতাফ হায়দার।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: