'কার্যালয়ে বোমা রেখে সমাবেশ বিএনপির সন্ত্রাসী পরিকল্পনার প্রমাণ'

প্রকাশিত: ০৯ ডিসেম্বর ২০২২, ০৭:০৯ পিএম

বিএনপির কঠোর সমালোচনা করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ব‌লে‌ছেন, নয়াপল্টনে পার্টি অফিসের ভেতরে বোমা রেখে সামনের রাস্তায় সমাবেশের জন্য এতদিন গোঁ ধরে থেকে বিএনপি প্রমাণ করেছে যে, ঢাকায় শান্তিপূর্ণ সমাবেশ নয় বরং সন্ত্রাসী কার্যকলাপই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য। আজ শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

আলাপকালে বুধবার (৭ ডিসেম্বর) নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মী ও পুলিশের সংঘর্ষের পর দলটির কার্যালয় থেকে ১৫টি তাজা বোমা, দুই লাখ পানির বোতল, ১৬০ বস্তা চাল, রান্না করা খিচুড়ি, হাড়ি-পাতিল এবং দুই লাখ নগদ টাকা উদ্ধারের কথা উল্লেখ করেন তিনি। তথ্যমন্ত্রী জানান, দেশে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব। বিশেষ করে পুলিশের ওপর যখন হামলা হয়, রাস্তাঘাট বন্ধ করে বেআইনিভাবে যখন সমাবেশ করা হয়, তখন ব্যবস্থাগ্রহণ করতে সরকার বাধ্য হয়েছে। আমরা গত দুই সপ্তাহ ধরে বারবার বলেছি, আপনারা যাতে বড় সমাবেশ করতে পারেন সেজন্য সরকার সর্বাত্মকভাবে সহায়তা করবে। কিন্তু না, তারা দেশে বিশৃঙ্খলা করার জন্য নয়াপল্টনেই সমাবেশ করবে। এটি তো সম্পূর্ণভাবে বেআইনি।

সরকার যদি সহায়তা না করত তাহলে বিএনপির পক্ষে দেশের নয়টি জায়গায় বড় সমাবেশ করা সম্ভব হতো না বলেও জানান তিনি। ড. হাছান মাহমুদবলেন, দেশের সব কয়টি বিভাগীয় শহরে তারা সমাবেশ করেছে, সরকার তাদের নিরাপত্তা দিয়েছে, সেখানে টুঁ শব্দটুকুও হয়নি। যেখানে একটু হয়েছে, সেখানে তারা নিজেরা নিজেরা চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও মারামারি করেছে। কিন্তু যখন বিএনপি ক্ষমতায় ছিল, তখন আমাদের সমাবেশ করতে দেওয়া হতো না। অথচ ১৪ বছর যাবৎ আমরা ক্ষমতায়, তারা নির্বিঘ্নে সমাবেশ করেছে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসের গ্রেপ্তারের প্রশ্নে ড. হাছান মাহমুদ জানান, তারা সবাই ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে পাঁচশ’ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা, ৩ হাজার মানুষকে আগুনে দগ্ধ করা, সাড়ে তিন হাজার গাড়ি পোড়ানো ও লঞ্চ-ট্রেন পোড়ানোর হুকুমদাতা হিসেবে আসামি। তারা আদালতকেও বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছেন, হাজিরা পর্যন্ত দেননি। গত ৭ তারিখ নয়াপল্টনে যে ঘটনা ঘটলো, পুলিশের ওপর হামলা করা হলো, বিএনপি কার্যালয়ের ভেতরে ১৫টি তাজা বোমা পাওয়া গেলো। বিভিন্ন সময় ঢাকা-চট্রগ্রামসহ সারা দেশে যে গাড়িতে আগুন দেওয়া এবং ভাঙচুর হয়েছে, এগুলোর হুকুমদাতাও মির্জা ফখরুল সাহেব ও মির্জা আব্বাস। আর তাজা বোমা নিয়ে যখন কেউ পার্টি অফিসে বসে থাকে, তখন যারা বসা ছিল সবাই তো অপরাধী। তারা তাজা বোমা নিয়ে কেন বসে ছিলেন? এসব কারণে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেছে।

ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বার্তার প্রশ্নে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জানানা, মার্কিন রাষ্ট্রদূত ৭ তারিখের ঘটনা নিয়ে তদন্তের কথা বলেছেন। অবশ্যই তদন্ত হবে। পুলিশ তো বিএনপি অফিসে বোমা পেয়েছে। কারা বোমা রেখেছিল, কারা বোমা বানিয়েছিল, বানানোর টাকা কারা দিয়েছিল, পুলিশের ওপর কীভাবে হামলা করেছিল—এগুলো তদন্তে বেরিয়ে আসবে। বিএনপি ঢাকায় যাতে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে পারে সেজন্য সরকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ছাড়াও বিকল্প চারটি প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু পার্টি অফিসে বোমা রাখা, পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল মারা, হামলা করা, বেআইনিভাবে রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করা এগুলো শান্তিপূর্ণ সমাবেশের লক্ষণ নয়।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: