শিশুর পাইলসের সমস্যা, অপারেশন করা হলো জিহ্বায়

প্রকাশিত: ০৯ ডিসেম্বর ২০২২, ০৭:৫৭ পিএম

লক্ষ্মীপুরে এক শিশুর পাইলস চিকিৎসার পরিবর্তে জিহ্বার নিচের অংশে অস্ত্রোপচার করার ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী শিশুর নাম আবদুর রহমান আরিয়ান (২)।  আজ শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে লক্ষ্মীপুর টাউন হলের সামনে ডা. আউয়াল শিশু সার্জারী সেন্টার ও জেনারেল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে খবর পেয়ে বিকেলে লক্ষ্মীপুর শহর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুল ওদুদ হাসপাতালে এসে উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলেন।

এই ঘটনায় চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. জামাল সালেহ উদ্দিন আরজু ভুল স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, ‘আমার ভুল হয়েছে। তবে এতে কোনো সমস্যা হবে না। যদি কোনো সমস্যা হয়, তাহলে সব দায়ভার আমার। প্রয়োজনে আমি এ ঘটনায় লিখিত দেবো।’ জামাল সালেহ চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও হাসপাতালটির মালিক এবং ভূক্তভোগী আরিয়ান সদর উপজেলার টুমচর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের টুমচর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

শিশু আরিয়ানের বাবা নিজাম উদ্দিন ও মা লিপি আক্তার জানান,  আরিয়ানের পাইলসের সমস্যা ছিলো। এজন্য সম্প্রতি তাকে সদর হাসপাতালের শিশু চিকিৎসক ইসমাইল হাছানকে দেখানো হয়। তিনি ওষুধ দিয়েছেন। কিন্তু ভালো হয়নি। এতে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ডা. আউয়াল শিশু সার্জারি সেন্টার ও জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়। ডা. জামাল সালেহ উদ্দিন আরজু তাকে দেখে পাইলসের সমস্যার কথা বলেন। এতে তিনি হাত দিয়ে যাচাই করার কথা বলেন। সাড়ে ১২টার দিকে নার্স এসে আরিয়ানকে অপারেশন কক্ষে নিয়ে যান।

পরবর্তীতে তাকে অচেতন করার ইনজেকশন পুশ করা হয়। পরে শিশুর বাবাকে অপারেশন কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়। কিছুক্ষণ পর তাকে অপারেশন কক্ষ থেকে বের করে নার্সরা বেডে এনে রাখেন। এ সময় নার্সরা বলেন, শিশুর জিহ্বার সফল অস্ত্রোপচার হয়েছে। সে এখন কথা বলতে পারবে। এটি শুনেই শিশুর মা লিপি কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, আমার বাবুর ছিল পাইলসের অপারেশন। কিন্তু জিহ্বা কাটা হলো কেন? এরপরই হাসপাতালে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

আরিয়ানের বাবা নিজাম উদ্দিন জানান পাইলসের অপারেশনেরও কথা ছিল না। কিন্তু তিনি আমার বাবুর জিহ্বা অপারেশন করে ফেলেছে৷ এ ঘটনায় আমরা থানায় অভিযোগ করব। লক্ষ্মীপুর শহর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল ওদুদ বলেন, দুই পক্ষের সঙ্গেই কথা বলেছি। ভুক্তভোগীদের থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

লক্ষ্মীপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. আহম্মদ কবির জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। এজন্য ভুক্তভোগীরা লিখিত অভিযোগ দিতে পারেন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: