ষষ্ঠ শ্রেণির এক প্রশ্নে ৩৫ বানান ভুল!

প্রকাশিত: ১৩ ডিসেম্বর ২০২২, ০৩:৪৫ পিএম

পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় জেলার শত বছরের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে সম্প্রতি এই বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা প্রথম পত্রের একটি প্রশ্নে ৩৫টি ভুল বানান নিয়ে চলছে সমালোচনা। তবে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছেন, প্রিন্ট করতে গিয়ে ফন্ট ভেঙে যাওয়ায় এমন হয়েছে।

এর আগে,  গত ৫ ডিসেম্বর বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষায় ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা প্রথম পত্রে সৃজনশীল প্রশ্নে ৩৫টি বানান ভুল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আর সেই ভুল বানানের প্রশ্ন দিয়েই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরীক্ষা শেষে এক ছাত্রের অভিভাবক প্রশ্নে ভুলগুলো চিহ্নিত করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি পোস্ট করলে তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা সমালোচনা। তবে বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এস এম আবুল হোসেন দুই মাস আগে ব্যক্তিগত কম্পিউটারে প্রশ্নপত্র তৈরি করে বিদ্যালয়ে জমা দিয়েছেন। তবে সেখানে কোনো ভুল ছিল না।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এস এম আবুল হোসেন জানান, দুই মাস আগে আমি আমার ব্যক্তিগত কম্পিউটারে টাইপ করে বিদ্যালয়ে প্রশ্নপত্র জমা দিয়েছি। আমার তৈরি প্রশ্নে কোনো বানান ভুল ছিল না। তবে এখন যে প্রশ্ন দিয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে, তাতে ৩৫টি বানানের আ’কার এ’কার ভুল আছে। প্রিন্ট মিসটেকের কারণে এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। আমি নিজেই প্রশ্নপত্র দেখে অবাক হয়ে গেছি।

এছাড়া বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির একাধিক শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, ৫ তারিখে বাংলা পরীক্ষার প্রশ্নে বানানগুলো বুঝতে আমাদের অনেক কষ্ট হয়েছে। প্রশ্নে এমনভাবে ‘আ’ কার ও ‘এ’ কার শব্দের সামনে পেছনে ছিল যা আমাদের বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলেছে।তবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রুহুল আমিন জানান, বাংলা পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র দেওয়ার পরে ভুলগুলো আমাদের চোখে পড়ে। এই ভুলটি হয়েছে প্রশ্নপত্র ছাপার সময়। প্রেসের লোকজন ফন্ট পরিবর্তন করতে গিয়ে আকার, একারসহ কিছু ফন্ট ভেঙে দিয়েছে। এজন্য প্রিন্টিং প্রতিষ্ঠানকে জবাবদিহি করতে হবে।

উল্লেখ্য, ১৮৮৭ সালে পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে দুই শাখায় প্রায় ১৭০০ ছাত্র রয়েছে। আর ষষ্ঠ শ্রেণিতে এ বছর পরীক্ষা দিচ্ছে ২৩৯ জন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: