সুন্দরবনে কোস্টগার্ডের অভিযানে হরিণের মাংসসহ পাচারকারী আটক

সুন্দরবন সংলগ্ন বানিয়াশান্তা এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ৩৬ কেজি হরিণের মাংসসহ এক পাচারকারীকে আটক করেছে কোস্টগার্ড। সোমবার (১২ ডিসেম্বর) রাত ১০টায় বানিয়াশান্তা বাজার এলাকা থেকে একটি প্লাস্টিকের বস্তায় ভর্তি থাকা অবস্থায় জবাইকৃত হরিণের মাংস জব্দ করে কোস্টগার্ড সদস্যরা।

মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য নিশ্চিত করেন মোংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের গোয়েন্দা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট এম মামুনুর রহমান,বিএন। তিনি বলেন, সুন্দরবনের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ অভিযানের অংশ হিসেবে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের অধিনস্ত বিসিজি বেইস মোংলার একটি অপারেশন দল ১২ ডিসেম্বর রাত ১০টায় সুন্দরবনের বানিয়াশান্তা বাজার এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান চলাকালীন সময় কোস্টগার্ড সদস্যরা সন্দেহজনক একটি মোটর সাইকেল দেখে সেটিকে থামার জন্য সংকেত দেয়। এসময় মোটর সাইকেলে থাকা ব্যক্তি কোস্টগার্ডের সংকেত না শুনে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ধাওয়া করে তাকে আটক করা হয়। পরে মোটর সাইকেলের পিছনে বেঁধে রাখা একটি প্লাস্টিকের বস্তায় তল্লাশী করে ৩৬ কেজি হরিণের মাংস জব্দ করে কোস্টগার্ড।

এ ঘটনায় মোটর সাইকেলে থাকা মো. আজিজুল ইসলাম (৩৮) কে আটক করা হয়। তিনি দাকোপ উপজেলার আমতলা গ্রামের বাসিন্দা। আটক পাচারকারী সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকা থেকে হরিণ শিকার করে এবং সিণ্ডিকেটের মাধ্যমে বিক্রি করে। পরবর্তীতে জব্দকৃত হরিণের মাংস এবং আটককৃত পাচারকারীকে বন্যপ্রাণী হত্যা ও বিক্রয়ের অপরাধে অভিযুক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঢাংমারি ফরেষ্ট স্টেশনে হস্তান্তর করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের এখতিয়ারভূক্ত এলাকাসমূহে আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রন ও বন্যপ্রাণী রক্ষা পাশাপাশি সুন্দরবনে জলদস্যুতা, বনদস্যুতা, ডাকাতি দমন, মাদক নিয়ন্ত্রন ও জননিরাপত্তায় পাশাপাশি উপকূলীয় নদী ও সমুদ্র এলাকায় যে কোন ধরনের উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।