গ্রাম ও শহরের দারিদ্র্যের প্রকৃতি বিশ্লেষণ করে সুষম নীতি প্রয়োগ করতে হবে: রবি উপাচার্য

প্রকাশিত: ১৩ ডিসেম্বর ২০২২, ০৬:২৮ পিএম

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ক্লাব “ইকোনমিক্স এক্সিলেন্স সেন্টার” এর উদ্যোগে লেকচার থিয়েটারে "আন্ডারস্টানডিং দ্যা চেইনজিং ডাইনামিক্স অফ আরবান পোভারটি, সাসটেইনেবল পোভারটি রিডাকশন অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট" শীর্ষক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম এর সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ সাহাদত হোসেন সিদ্দিকী। বিভাগের শিক্ষক পিংকি রানী দে এর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিভাগের চেয়ারম্যান শারমিন সুলতানা।

সেমিনারে প্রধান বক্তা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ শাহাদাত হোসেন সিদ্দিকী টেকসই উন্নয়নে শহরকেন্দ্রিক দারিদ্র‍্যের প্রভাব, সমস্যা এবং এর প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি মনে করেন গ্রাম ও শহরের দারিদ্র্য কমছে, কিন্তু যেভাবে গ্রামীণ দারিদ্র্যের হার কমছে সেভাবে শহরের দারিদ্র্য কমছে না। বিগত ১ দশকে শহরের দারিদ্র্য কমার হার স্থবির, ফলে শহরের দারিদ্র্যের হার তুলনামূলকভাবে বাড়ছে। এর মূল কারণ গ্রামীণ প্রকৃতি বিশ্লেষণ করে দারিদ্র্য হ্রাসের যে নীতি প্রয়োগ করা হয়েছে, শহরের ক্ষেত্রে তা করা হয় নি। তাই দারিদ্র্যের প্রকৃতি বিশ্লেষণ করে শহরের দারিদ্র্য হ্রাসের কৌশল নীতি নির্ধারকদের প্রয়োগ করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাংলাদেশ কল্যাণরাষ্ট্র হিসেবে গড়ে উঠবে। এজন্য দারিদ্র্যশূন্য দেশ গড়তে প্রবৃদ্ধিকে হতে হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও দারিদ্র্য নিরসনমূলক। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সঙ্গে সংগতি রেখে বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দারিদ্র্য নিরসনের অভীষ্ট হলো: ২০৩১ সালের মধ্যে চরম দারিদ্র্য নির্মূল করা এবং ২০৪১ সালের মধ্যে দারিদ্র্যের হার ন্যূনতম পর্যায়ে (৩ শতাংশ বা এর নিচে) নিয়ে আসা। এক্ষেত্রে গ্রামীণ ও শহরের দারিদ্র্যের প্রকৃতি বিশ্লেষণ করে সুষম নীতি প্রয়োগ করতে হবে। তাহলেই সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল এর অভীষ্ট-১ অর্জন সম্ভব।

সেমিনারটির আয়োজনে সার্বিক দায়িত্ব পালন করে অর্থনীতি বিভাগের ক্লাব ইকোনমিক্স এক্সিলেন্স সেন্টার এর মডারেটর বরুণ চন্দ্র রায় এবং ক্লাবটির কমিটির সকল সদস্যসহ বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: