স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতির অভিযোগ

প্রকাশিত: ১৫ ডিসেম্বর ২০২২, ০৯:৫৪ এএম

বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার ৩৩নং পশ্চিম চরলাঠিমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৩৭৬ টাকার চেক জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ২৪ নভেম্বর বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. ফাইজুল কবির ওই মামলাটি দায়ের করেন। আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে পাথরঘাটা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

মো. ফাইজুল কবির ৩৩নং পশ্চিম চরলাঠিমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের ৯ ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিম চরলাঠিমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর থেকে ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ৪ লাখ ৫১ হাজার ১৫০টাকা সরকারি বরাদ্দ আসে। ওই বরাদ্দের টাকা বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির মো. ফাইজুল কবির ও প্রধান শিক্ষক শহিদুর রহমানের যৌথ ব্যাংক হিসাবে পরিচালিত হয়। তবে ওই ব্যাংক হিসাব থেকে বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির মো. ফাইজুল কবিরের সই জাল করে প্রধান শিক্ষক শহিদুর রহমান ১লাখ ৩৬ হাজার ৩৭৬ টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে আত্মসাত করেছেন। যা সরকারি বিধি বহিরভূত।

পশ্চিম চরলাঠিমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. ফাইজুল কবির বলেন, স্কুলের শিক্ষকদের বেতন সীটসহ অন্যান্য কাগজপত্রে সভাপতির স্বাক্ষর থাকার বিধান থাকিলেও প্রধান শিক্ষক মো. শহিদুর রহমান সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে স্কুলের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে উপজেলা শিক্ষা অফিসে দাখিল করেছেন। এ ঘটনাসহ চেক জালিয়াতির ঘটনা পাথরঘাটা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবগত করা হলেও তিনি এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেননি।

অভিযোগ প্রসঙ্গে পশ্চিম চরলাঠিমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শহিদুর রহমান বলেন, ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ফাইজুল কবির বিভিন্ন সময় তাকে লাঞ্চিত করেছেন। তাছাড়াও ওই সভাপতি সব সময়ই সরকারি বরাদ্ধের টাকার একটি অংশ দাবি করতেন। ওই টাকা আমি না দেয়ায় আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এ মামলা দায়েরের পরও গত রোববার শিক্ষকদের সামনে সভাপতি ফাইজুল কবির আমাকে মারধর করেছেন।

তবে প্রধান শিক্ষক মো. শহিদুর রহমানকে মারধরের বিষয়টি সত্য নয় বলে ওই বিদ্যালয়ের একাধিক সহকারী শিক্ষক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ ব্যাপারে পাথরঘাটা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা টি. এম শাহ আলম বলেন, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ফাইজুল কবির বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় আদালত আমাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু ওই মামলার অভিযোগে আমাকেও জড়ানো হয়েছে। তাই এ মামলার তদন্ত করা সুমিত হবেনা। তাই আগামী ধায্য তারিখে আদালতের কাছে তদন্তের নারাজি দিয়ে আবেদন করা হবে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: