দাম বেড়েছে পেঁয়াজ চিনি ও মসলার, সবজি স্থিতিশীল

প্রকাশিত: ১৬ ডিসেম্বর ২০২২, ০৯:৪৮ পিএম

বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মধ্যে দাম বেড়েছে পেঁয়াজ, আটা ও চিনির। শীত মৌসুমে নতুন আলু বাজারে আসায় দাম কিছুটা কমেছে। তবে অন্যান্য পণ্যের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আজ শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে এই চিত্র। আগের দামে বিক্রি হচ্ছে শীতকালীন সবজি।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকারভেদে বাঁধাকপি ও ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। শসা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। লম্বা বেগুনের কেজি ৬০-৭০ টাকা, গোল বেগুন ৮০-৯০ টাকা ও টমেটো ১০০-১২০ টাকা। শিমের কেজি ৪০-৬০ টাকা, করলা ৬০-৮০ টাকা, চাল কুমড়া প্রতিটি ৫০-৬০ টাকা, লাউ প্রতিটি আকারভেদে ৫০-৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৫০-৫৫ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০, পটল ৬০, ঢেঁড়স ৬০, কচুর লতি ৭০-৮০, পেঁপে ৩০-৪০, বরবটি ৬০-৮০ ও ধুন্দুল ৬০-৭০ টাকা কেজি। কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়, কাঁচা কলার হালি ৪০ টাকা, লেবুর হালি ১৫-২০ টাকা।

মহাখালী কাঁচা বাজারের সবজি বিক্রেতা সজল বলেন, শীত মৌসুমে বাজারে সকল সবজির সরবাহ ভালো রয়েছে। এর জন্য আমরা আগের দামেই বিক্রি করতে পারছি। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০-৩৫ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে ২৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হতো। পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকায়। সাত দিন আগেও কেজি ছিল ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা। রসুনের কেজি ১২০-১৩০ টাকা। আদা ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সবজির মত দামে স্বস্তি দিচ্ছে ডিম, মুরগি। বাজারে এখন অন্যান্য পণ্যের তুলনায় মুরগির দাম অনেক কম। ব্রয়লার ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা, সোনালি ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা ও দেশি মুরগি ৪৫০ থেকে ৪৬০ টাকা কেজি। মাছের দামে হেরফের নেই। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। ফার্মের লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২১০-২২০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ১৮০-১৯০ টাকা।

বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬৮০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংসের কেজি ৮৫০-৯০০ টাকা। বাজারে খোলা চিনি প্রতি কেজি পাওয়া যাচ্ছে ১২০ টাকায়। প্যাকেটজাত চিনির কেজি ১২৫-১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাল চিনির কেজি ১৪০ টাকা।

বাজারে খোলা আটার কেজি ৬৫ টাকা। কেজিতে বেড়েছে পাঁচ টাকা। প্যাকেটজাত আটা কেজিপ্রতি ৭২-৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দুই কেজির প্যাকেট আটা বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। দেশি মসুরের ডালের কেজি ১৩০-১৪০ টাকা। ইন্ডিয়ান মসুরের ডালের কেজি ১২০-১২৫ টাকা।

সয়াবিন তেল প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকায়। পাঁচ লিটারের বোতল ৯২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজারে লবণের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকায়।

এদিকে, বাজারে চালের সংকট না থাকলেও বেড়েছে সুগন্ধি চালের দাম। যার প্রভাব পাইকারি ও খুচরা বাজারে পড়েছে। পাইকারি বাজারে সুগন্ধি চালের বস্তাপ্রতি ৫০০ টাকার বেশি বেড়েছে। তাই খুচরা বাজারেও দাম বেড়েছে। ভালো মানের খোলা সুগন্ধি চাল ১৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আগে যা বিক্রি হত ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়। সুগন্ধি চালের প্যাকেট ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মূল্যবৃদ্ধিতে পিছিয়ে নেই জিরা-এলাচসহ বেশির ভাগ মসলার দাম। ৪৫০ টাকা কেজির জিরা এখন বিক্রি হচ্ছে ৫২০ টাকায়। এলাচি মানভেদে এক হাজার ১০০ থেকে এক হাজার ৪০০ টাকা কেজি ছিল, এখন এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৬০০ টাকা। সব কোম্পানির প্যাকেট লবণ কেজিতে চার টাকা বাড়িয়ে ৪২ টাকা করা হয়েছে। আগে ছিল ৩৮ টাকা।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: