আ. লীগের লোকেরাই অপরাধে জড়িত, বললেন আ.লীগে যোগ দেওয়া চেয়ারম্যান

প্রকাশিত: ১৮ ডিসেম্বর ২০২২, ১২:০৪ এএম

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টুর একটি বক্তব্যকে ঘিরে তোলপাড় চলছে জেলার রাজনৈতিক অঙ্গনে। কুতুবপুর ইউনিয়নে অধিকাংশ অপরাধের সাথে আওয়ামী লীগের লোকেরাই জড়িত, তার এমন মন্তব্যের পরে এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র প্রতিক্রিয়া৷ গতকাল শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) এক আলোচনা সভায় সেন্টু বলেন, কুতুবপুর এলাকাটি অপরাধপ্রবণ এলাকা। এ এলাকায় যে সকল অপরাধ কর্মকাণ্ড সংগঠিত হয় সে সমস্ত অধিকাংশ আপরাধের সাথেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের লোকজনই জড়িত।

তিনি আরো বলেন, বিএনপির লোকজন তো এলাকাছাড়া, কীভাবে তারা অপরাধ কর্মকাণ্ড করবে? তারা তো পুলিশের ভয়ে বাড়িতেই থাকতে পারছেন না। তাই এলাকার শান্তি বজায় রাখতে দলের নাম ব্যবহার করে যারাই অপকর্ম করবে তাদের প্রতিহত করা হবে। এলাকায় মাদক এবং বিভিন্ন অপরাধ সংগঠিত হওয়ার কারনে বারংবারই গণমাধ্যমের পাতায় কুতুবপুরের নামটি উঠে আসে। আর এ অপরাধের সাথে যে সকল ব্যক্তির নাম উঠে আসে তাদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত বলে তিনি অভিযোগ করেন।

গত ১৬ ডিসেম্বর (শুক্রবার) সন্ধ্যায় বিজয় দিবস উপলক্ষে মুন্সিবাগ পঞ্চায়েত কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মনিরুল আলম সেন্টু একথা বলেন।

এ মনিরুল আলম সেন্টুর এমন বক্তব্যে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী বলেন, মনিরুল আলম সেন্টু ছিলেন বিএনপি নেতা। বলা চলে, ফতুল্লায় বিএনপি'র অবস্থান তৈরির নেপথ্যে তিনি ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। তিনি ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিনিয়র সহসভাপতি ছিলেন৷ তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপরে হামলা ও মামলার ঘটনা ঘটেছে। দলের বহু নেতাকর্মী তার কারনে নির্যাতিতসহ এলাকা ছাড়া ছিল। বাড়ীঘর ছেড়ে জীবনে বাঁচাতে দেশের এক প্রান্ত থেকে অণ্য প্রান্তে পালিয়ে থাকতে হয়েছে। আজকে সেই বিএনপি নেতা বর্তমানে আওয়ামী লীগে যোগদানের মাধ্যমে দলের লোকজনদেরকেই সন্ত্রাসী বলে আখ্যা দিচ্ছেন এবং বিএনপির লোকজনদের প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন। এমনকি বিএনপি নেতাকর্মীদের বড় একটি অংশকে তিনি শেল্টার দিয়ে নিরাপদে রেখেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে৷

মূলত সেন্টু চেয়ারম্যানের গাঁ থেকে এখনো বিএনপির গন্ধ যায়নি। বিএনপি ঘেঁষা এই ধরনের নব্য আওয়ামীলী গারদের কারনেই দলের আজকে এ অবস্থা। দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন করে তাকে মনোনয়ন দিয়ে ত্যাগীদের অপমান করা হয়েছে। অনতিবিলম্বে মনিরুল আলম সেন্টু চেয়ারম্যানকে এমন বক্তব্য প্রত্যাহারসহ আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন। অন্যথায় এর জন্য দলে বিশৃংঙ্খলা সৃষ্টি হবে বলে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ মনে করেন।

তবে এ ব্যাপারে মনিরুল আলম সেন্টু গণমাধ্যমকে বলেন, আমি সরাসরি কোন দলের নাম ইঙ্গিত করে বলিনি। আমি বলেছি, যে দল ক্ষমতায় আসে তারাই সন্ত্রাসী এবং মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: