ফেসবুকে সংগ্রহীত অর্থায়নে প্রতিবন্ধী হালিমা পেল রঙ্গিন ঘর

প্রকাশিত: ২২ ডিসেম্বর ২০২২, ০৭:১৬ পিএম

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সংগ্রহীত অর্থায়নে সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে প্রতিবন্ধী হালিমা পেল রঙ্গিন ঘর। ক’দিন আগের জরাজীর্ণ ভাঁঙ্গা ঘরে অসুস্থ বাবা আর মাকে নিয়ে বসবাস করতেন প্রতিবন্ধী হালিমা। বিষয়টি নজরে আসে মানবতার ফেরিওয়ালা খ্যাত সমাজকর্মী মামুন বিশ্বাসের। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ফেসবুক সহায়তার আর্তি করে করে পোষ্ট দিয়ে বন্ধুদের সহযোগিতায় হালিমাকে গড়ে দিলেন রঙিন ঘর। এখন আর দুর্ভোগ পোহাতে হবে না অসহায় হালিমা ও তার বাবা মাকে।

বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে বেলকুচি উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের সামান্য পাড়া গ্রামের হালিমার হাতে নতুন ঘরের চাবি তুলে দেয়া হয়। এর আগে কয়েক দিন টিন কাঠের এই রঙ্গিণ ঘর তৈরী করেন মিস্ত্রি।

জানা যায়, প্রতিবন্ধী হালিমার আরেক বোন অনেক আগেই বিয়ে দিয়েছেন। বাবা হাসেন শেখ শারীরিক ভাবে অসুস্থ, কোন কাজ করতে পারেন না। হালিমা তার মা খোদেজা ও বাবা হাসেন এই তিন জনের জীবন যাপন এই ঝুপড়ি ঘরেই। হালিমা একটি প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড রয়েছে।

এদিকে রঙ্গিন ঘর পেয়ে আবেগ আপ্লুত হালিমা বলেন, আগে ঝড়-বৃষ্টি হলে বাবা মাকে নিয়ে অন্যর বাড়িতে আশ্রয় নিতাম। এখন আমার নতুন ঘর হয়েছে, নিজের ঘরেই থাকবো ঘুমাবো। টয়লেটও তৈরী করে দিয়ে দিয়েছে। হালিমার অসুস্থ বাবা হাতেম শেখ জানান, প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে অনেক কষ্ট করেছি। জরাজীর্ণ ঘরে মুরগি ও আমরা একই স্থানে বসবাস করেছি। স্বপ্নেও কল্পনা করিনি যে কখনো নতুন রঙিন ঘর পাব, এত সুন্দর ঘরে থাকতে পারব। ঘর ও টয়লেট নতুন পোশাক সহ সবকিছু পেয়ে আমি ভীষণ খুশি হয়েছি। যত দিন বেঁচে আছি মামুন বিশ্বাস সহ সহায়তাকারীদের জন্য প্রাণ ভরে দোয়া থাকবে। কারন কোন নেতা কিংবা জনপ্রতিনিধি আমাকে ঘর না দিলেও অচেনা অজানা হৃদয়বান মানুষ গুলো ঘর করে দিল।

এ বিষয়ে সমাজকর্মী মামুন বিশ্বাস জানান, ২৩ বছর বয়সী শারীরিক প্রতিবন্ধী হালিমা চট ও পলিথিন আর লাকড়ি দিয়ে মোড়ানো ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করে। বিষয়টি জানতে পেরে বিস্তারিত লিখে ফেসবুকে একটা পোস্ট দিই। ফেসবুকের বন্ধুদের কাছ থেকে ৭৩ হাজার টাকা সংগ্রহ হয়। সেই অর্থ দিয়েই নতুন রঙ্গিন ঘর নির্মান করে দিয়েছি। তিনি আরও বলেন, আমরা সবাই যদি যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসি, তাহলে আমাদের সমাজে অবহেলিত কোনো মানুষ থাকবে না। আমাদের সবাইকে সমাজের কল্যাণে এগিয়ে আসা দরকার। আমি শুধু চেষ্টা করি ফেসবুক বন্ধুরা এগিয়ে আসেন বলেই প্রতিটি মানবিক কাজের জয় হয়।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: