দোহার-নবাবগঞ্জের গির্জা পল্লীগুলোতে সাজ সাজ রব

প্রকাশিত: ২৩ ডিসেম্বর ২০২২, ১২:০৯ পিএম

আর মাত্র একদিন পর বড়দিন। খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় এই ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে দোহার-নবাবগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানের ৫টি গির্জা ও ১৮টি গ্রামের খ্রিষ্টান পল্লীগুলোতে সাজ সাজ রব। গীর্জা থেকে খ্রিস্টান বাড়ি বাড়ি সবখানেই এখন বড়দিন পালনের প্রস্তুতি। বাড়িগুলোর সামনে সাজানো হচ্ছে ক্রিসমাস ট্রি। অতিথি আপ্যায়নের জন্য বাড়িতে বাড়িতে তৈরি করা হচ্ছে রকমারি পিঠা।

বড়দিনের অনুষ্ঠানে অতিথি আপ্যায়নের জন্য ইতিমধ্যে তারা তৈরি করছেন হরেক বাহারি কেক। ছোট ছোট শিশুদের প্রিয় বন্ধু হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত সান্তাক্রুসর উপহার ও দেখা পেতে অপেক্ষা যেন আর সইতে পারছে না ছোট শিশুরা।

বড়দিন উপলক্ষে নবাবগঞ্জের বান্দুরা বাজারের তৈরি পোশাক বিপণিবিতানগুলোতে ব্যবসায়ীদের ব্যস্ততা বেড়ে গেছে। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত আটটা পর্যন্ত ক্রেতাদের ভিড় লেগেই থাকে। বিক্রিও ভালো।

বান্দুরা বাজারের শাহাবুদ্দিন শপিং সেন্টারের ইউনিক ব্রাদার্স এর মালিক রাফি ইসলাম আলতাফ বলেন, রুচিশীল রকমারি পোশাকের সমাহারে দোকান সাজানো হয়েছে। অন্য বছরের তুলনায় এবার বিক্রি বেশি।

সোনাবাজু এলাকার বাসিন্দা বীরমুক্তিযোদ্ধা ফেবিয়ান মিলন গমেজ বলেন, শেষ মুহূর্তে মা মেরির প্রতিকৃতি ছাড়াও গোয়ালঘরে শিশু যীশুকে ফুটিয়ে তোলার কাজ চলছে। সবচেয়ে বেশি আনন্দ এখন শিশু-কিশোরদের। সেই সাথে ঘরে ঘরে আলোকসজ্জা করা হচ্ছে।

নবাবগঞ্জের হাসনাবাদ জপমালা রানির গীর্জার পাল-পুরোহিত ফাদার স্ট্যানিসলাউস বলেন, বড়দিনের শিক্ষায় আলোকিত হয়ে উঠবে সমাজ সব জরা পেছনে ফেলে শান্তিময় এক পৃথিবীর প্রার্থনা থাকবে এবারের বড়দিনে।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিটি গ্রামের গির্জা ও উপধর্মপল্লী গুলোকে সাজানো হচ্ছে আলোক সজ্জায়। দোহার উপজেলার ইকরাশী উপধর্মপল্লী, নবাবগঞ্জের সোনাবাজু উপধর্মপল্লী, হাসনাবাদ গির্জা, গোল্লা গীজা, তুইতাল গির্জা, বক্সনগর গির্জা এরমধ্যে অন্যতম। গির্জার অভ্যন্তরে কুড়ে ঘরের ভিতর মাদার মেরীর কোলে শিশু যিশুখ্রিষ্ট। গির্জায় আসা পূণ্যার্থীদের আগমন নিরবিচ্ছিন্ন করতে তৈরি করা হচ্ছে বিশেষ ভলেন্টিয়ার টিম। সব মিলিয়ে খ্রিষ্টান অধ্যুষিত গ্রামগুলোতে গুলোতে এখন উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।

নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিরাজুল ইসলাম শেখ ও দোহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোস্তফা কামাল বলেন, বড় দিনকে ঘিরে সর্বাত্মক নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিটি গীর্জায় পুলিশ পাহাড়া থাকবে ও টহল পুলিশও থাকবে। আশা করি নির্বিঘ্নে বড় দিনের উৎসব সম্পন্ন হবে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: