মেয়াদ শেষে শুধুই পিলার

প্রকাশিত: ২৩ ডিসেম্বর ২০২২, ১০:৫১ পিএম

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে টাঙ্গুয়ার হাওরের যাদুকাটা নদীর ওপর নির্মাণকাজ চলছে সিলেট বিভাগের দীর্ঘতম সেতুর। তবে কাজ চলছে ঢিমেতালে। কাজের নির্ধারিত তিন বছর মেয়াদ শেষ হয়েছে গত বছরের ডিসেম্বরে। বর্ধিত সময় শেষ হয়েছে গত জুনে। কিন্তু এখনও বিশাল অংশের কাজ বাকি। যদিও বন্যাসহ নানা কারণে কাজ ধীরগতিতে চলছে বলে দাবি সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষের।

দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বৃহৎ শুল্কবন্দর বড়ছড়া, চারাগাঁও এবং বাগলিকে সড়কপথে যুক্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তাহিরপুর সীমান্তের টাঙ্গুয়ার হাওর, শহীদ সিরাজ লেক (নিলাদ্রী লেক), শিমুল বাগানসহ পর্যটন আকর্ষণীয় স্থানগুলোর সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করার লক্ষ্যে যাদুকাটা সেতুর কাজ শুরু হয়েছিল। সেতুটি নির্মাণ হচ্ছে তাহিরপুরের বাদাঘাট ইউনিয়নে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে সেতুর কাজ শুরু করে। শুরুর দিকে নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল ৮৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। গত বছরের ডিসেম্বরে কাজের মেয়াদ শেষ হলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তমা কনস্ট্রাকশন আরও ছয় মাস মেয়াদ বাড়ায়।এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, এ পর্যন্ত শুধু সেতুর পিলারগুলো দাঁড়িয়েছে। বসানো হয়েছে কয়েকটি গার্ডার। এর ওপরের সিংহভাগ কাজ এখনও বাকি। গত জুনের বন্যার পর সেতুর কাজ অনেকটা থমকে গেছে।

তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোশারফ মিয়া বলেন, শুরু থেকেই সেতুর কাজ ধীরগতিতে চলছে। বন্যার পর আর কাজই হচ্ছে না।

ইউপি চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন বলেন, কাজে ধীরগতি আছে। প্রাকৃতিক কারণেও কিছুটা পিছিয়েছে। এলাকার মানুষ দ্রুত সেতুর কাজ শেষ করার দাবি জানাচ্ছেন। এ সেতু সীমান্তবাসীর আশা জাগানিয়া উন্নয়ন।

তমা কনস্ট্রাকশনের যাদুকাটা সেতুর কাজ দেখভালকারী প্রকৌশলী নাছির উদ্দিন বলেন, বন্যায় নদীর মাঝের স্ট্রেজিং (গার্ডার করার মঞ্চ) ওয়াশআউট হয়েছিল। অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণও নষ্ট হয়েছে। এ কারণে গত কয়েক মাসে কাজ কম হচ্ছে। আগামী সপ্তাহ থেকে কাজ শুরু হবে।

উপজেলা চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল জানান, সেতুর নির্মাণকাজ শেষে বিশ্বম্ভরপুরের কারেন্টের বাজার থেকে যাদুকাটা সেতু পর্যন্ত সড়ক, ওপাড়ে সুন্দর পাহাড়ি এলাকা হয়ে সীমান্ত সড়কের সঙ্গে সংযোগ সড়ক এবং সেতুর অ্যাপ্রোচ থেকে বাদাঘাট পর্যন্ত সড়কের কাজ হবে। এতে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক জোন হবে বাদাঘাটসহ সীমান্ত অঞ্চল।

সুনামগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বলেন, কাজটি দ্রুত আদায়ের চেষ্টা হচ্ছে। বন্যায় স্ট্র্রেজিং ওয়াশআউট হওয়ায় সময় নষ্ট হয়েছে। এখন নদীতে পানি বেশি আছে। এ কারণে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। আগামী মাসের প্রথম দিকে সেতুর কাজ শুরু হবে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: