ফানুসের আলোয় নতুন বর্ষকে বরণ, উল্লাসে রাজধানীবাসী

প্রকাশিত: ০১ জানুয়ারি ২০২৩, ০৯:৪০ এএম

করোনা মহামারীর ধকল সামলে নতুন বছর শুরু হলেও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতিতে প্রত্যাহিক জনজীবন করোনা পূর্ব স্বাভাবিক জীবনের মত ফিরতে পারে নি। তাই তো স্বাভাবিক, সুন্দর এক অনাবিল জীবনের প্রত্যাশায় সকল গ্লানি পেছনে ফেলে ফানুশ কিংবা আতশবাজি ফোটানোর ব্যস্ত নগরবাসী।

পুরোনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে বরণ শুধু আতশবাজি আর ফানুস উড়ানোর মাঝেই সীমাবদ্ধ নয়! বাসা-বাড়ি ছাদে প্রতিবেশীরা মেতে উঠেছেন ভূরিভোজে। পরিবারের ছোট সদস্য থেকে শুরু করে, বড় পর্যন্ত সবাই মেতে উঠেছেন পুরোনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়ার আনন্দে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, বহিরাগতদের প্রবেশ না থাকায় শিক্ষার্থীরা আনন্দে মেতে উঠেছে। গান গেয়ে, হাসি-ঠাট্টা আর মোবাইলে ছবি তুলে নতুন বছরকে বরণ করার উন্মাদনায় মেতে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এদিকে হল গুলোতেও মিষ্টান্নের আয়োজন করেছে হল প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শাকিল-আস সাদ বলেন, করোনার ধকল সামলে ওঠার পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে পড়েছে জনজীবনে। আগামী দিনের প্রত্যাশা বিশ্বজুড়ে সর্বত্র শান্তি বিরাজ করুক। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ হয়ে উঠুক সারা বিশ্বের কাছে এক অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় স্মার্ট বাংলাদেশ।

নৃবিজ্ঞান বিভাগের নাহিদ ইসলাম বলেন, দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাত ধরে যেভাবে দেশ এগোচ্ছে সেভাবেই এগিয়ে যাক। বিশ্বের সামনে বাংলাদেশ এভাবে মাথা উঁচু করে চলতে পারে, সেই প্রত্যাশাই থাকবে। সেই সঙ্গে দেশকে ষড়যন্ত্রের মুখে ফেলতে যাঁরা কূটবুদ্ধিতে মত্ত থাকে, তাঁদেরও যেন শুভ বুদ্ধির উদয় ঘটে সেই কামনা রাখি।

এদিকে রাজধানী ঢাকাতে নতুন বছর বরণকে সামনে ঘিরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতাও ছিল চোখে পড়ার মত। ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়। সরেজমিনে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সন্ধ্যা ৬টার পরে বহিরাগত কোনও ব্যক্তি বা যানবাহন প্রবেশ করতে দেওয়া হয় নি।

রাত ১২টার দিকে পরিদর্শনে আসেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানীসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা। উপাচার্য বলেন, আমাদের ছেলে-মেয়েরা খুবই সুশৃঙ্খলভাবে নববর্ষ উদযাপন করছে। বহিরাগতরা আসলে অনেক সময় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে, তাই আমরা এটি রোধ করেছি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শিক্ষার্থী, আবাসিক এলাকায় বসবাসরত শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিচয় প্রদান সাপেক্ষে শাহবাগ ক্রসিং দিয়ে এবং নীলক্ষেত ক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও গুলশান-বনানী-বারিধারা এলাকায় রাত ৮টা থেকে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল ; রাত ৮টার পর থেকে ওই এলাকায় প্রবেশ ছিল নিয়ন্ত্রিত।

নিষেধাজ্ঞার পরও মানার বালাই নেই: থার্টি ফার্স্ট উপলক্ষে কোনও ধরনের আতশবাজি, পটকা ফোটানো কিংবা ফানুস ওড়ানোর মতো কর্মকাণ্ডের ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানার বালাই নেই জনসাধারণের।

বেশ কয়েকজনের সাথে কথা হলে তাঁরা জানায়, আজকে আনন্দ করব না তো কবে করব? এগুলো ফোটানোর মধ্য দূর্ঘটনা ঘটতে পরে এমন প্রশ্নের জবাবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, আমরা নিরাপদেও ফানুশ ওড়াচ্ছি। কোন যেন দূর্ঘটনা না ঘটে সেদিকে আমাদের নজর আছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: