গাইবান্ধা ভোটে অনিয়ম, পক্ষপাতিত্ব প্রশ্রয় দেবো না: ইসি আহসান হাবিব

প্রকাশিত: ০৩ জানুয়ারি ২০২৩, ০৮:২২ পিএম

নির্বাচন কমিশনার ব্রি.জে. (অব.) আহসান হাবিব খান বলেছেন, আমরা কোনো প্রকার অনিয়ম,পক্ষপাতিত বা অস্বচ্ছত প্রশ্রয় দিই না এবং দিবো না ভবিষ্যতে। যেটার প্রতিফলন হয়েছিল গাইবান্ধা নির্বাচনে। মঙ্গলবার (০৩ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

আহসান হাবিব বলেন, আমরা কোনো প্রকার অনিয়ম,পক্ষপাতিত বা অস্বচ্ছত প্রশ্রয় দিই না এবং দিবো না ভবিষ্যতে। যেটার প্রতিফলন হয়েছিল গাইবান্ধা নির্বাচনে। সেটা আবার হতে যাচ্ছে, আমাদের কাছে কোনো ছাড় নেই।

তিনি বলেন, গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচন সুষ্ঠু এবং অবাধ ভাবে করার জন্য সর্বপ্রকার প্রস্তুতি আমাদের সম্পূর্ণ হয়েছে। আপনারা জানেন অনিয়মের কারণে এই গাইবান্ধা উপ-নির্বাচন বন্ধ করা হয়েছে। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে সতর্কতার সাথে গাইবান্ধার প্রতিটি সিচুয়েশন আমরা পর্যবেক্ষণ করছি, নির্দেশনা দিচ্ছি এবং অ্যাকশান নিচ্ছি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, সম্পূর্ণভাবে আমরা, জেলা প্রশাসন, পুলিশ, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, আমাদের রিটার্নিং অফিসার এবং আমাদের কর্মকর্তা; তারা এক সাথে কাজ করে সুন্দর একটা নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য তারা প্রস্তুত।

আপনাদের প্রশ্ন ছিলো এই অনিয়মের পূনরাবৃত্তি হয় সেক্ষেত্রে আমাদের করনীয় কি? আসলে অনিয়মের গ্র্যাভিটিটা দেখে তখন সেই মূহুর্তে পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।তবে আমরা এতটুকু বলতে পারি যে কোনো অনিয়মকে প্রশ্রয় একেবারে দিবো না।

এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা নির্বাচনটাকে সুন্দর করে জাতির কাছে উপহার দেওয়ার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়েছি এবং আমরা প্রস্তুত। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যে সমস্ত ছোট খাটো ঘটনা ঘটেছে প্রচারণার সময় বা প্রচারণা বন্ধ হলেও কেউ কেউ প্রচারণা করার চেষ্টা করেছে, আমরা কিন্তু তা কঠিন হস্তে দমন করেছি। পুলিশ বা জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে তদন্ত করে একশান নেওয়া হয়েছে।

এদিকে অনিয়মের কারণে গত ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা - ৫ আসনে উপ- নির্বাচন বন্ধ ঘোষণা করে ইসি। পরে ৪ জানুয়ারী এ আসনে ভোটের নতুন তারিখ ঘোষণা করে আউয়াল কমিশন। আগামীকাল এ আসনে ফের উপ - নির্বাচনের ভোট হবে।

গত ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা - ৫ আসনে উপ - নির্বাচনে সবগুলো কেন্দ্র সিসি টিভি ক্যামেরা দিয়ে ঢাকার নির্বাচন ভবনে বসে মনিটরিং করেন কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন। ভোটে অনিয়ম ধরা পড়লে ভোট গ্রহণের চারঘণ্টার মাথায় ১৪৫ টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৫১ টি ভোটকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে ভোট শেষের দেড়ঘণ্টা আগেই এ ভোট বন্ধ ঘোষণা করেন।

ভোট বন্ধের ঘোষণার পর রাজনৈতিক মহলে নানা আলোচনা সমালোচনার মুখে পড়ে বর্তমান কমিশন৷ এরপর এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই তদন্ত কমিটি করে আউয়াল কমিশন।

গত জুলাইয়ে সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পিকার ফজল্র রাব্বি মিয়ার মৃত্যুতে এ আসনটি শূণ্য ঘোষণা করা হয়। গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে অনিয়ম ও দায়িত্ব অবহেলার প্রমান মেলায় রিটার্নিং কর্মকর্তা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশের পাঁচ উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তকাসহ ১৩৪ জনের বিরুদ্ধে বরখাস্তসহ নির্বাচন কর্মকর্তা বিশেষ আইন অনুসারে বিভিন্ন মেয়াদের শাস্তির সিদ্ধান্ত দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বুধবার (০৪ জানুয়ারি) গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গত ১২ অক্টোবর অনিয়মের কারণে ভোট করে এ আসনে ফের নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করে ইসি।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: