ভোট পড়েছে ৩৫ শতাংশ, সিইসি বললেন সফল নির্বাচন

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচন নির্বাচনটা সফল হয়েছে। গড়ে ৩৫ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে।ভোটের শুরুটাও সুন্দর ছিল, শেষটাও চমৎকার ছিল। আজ বুধবার (০৪ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবনে উপ-নির্বাচন শেষে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন।

সিইসি বলেন, গাইবান্ধা-৫ উপ-নির্বাচনের শুরুটাও সুন্দর ছিল, শেষটাও চমৎকার ছিল। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সেদিক থেকে নির্বাচনটা সফল হয়েছে। গড়ে ৩৫ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে। তিনি বলেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণে কোনো ধীরগতি ছিল না। সে রকম কোনো অভিযোগও ছিল না।

সিসি ক্যামেরা প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, এটি নতুন সংযোজন। এটি অনেক তিক্ষ্ণ, সুক্ষ্ম ও কার্যকর হচ্ছে। প্রার্থীরাও গুরুত্ব দিচ্ছেন। কেন্দ্রের ভেতরে অনিয়ম হলে তারা সচেতন আছে। ইলেকটোরাল গভার্নেন্স এই জিনিসটা ঘটেছে। এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, অসন্তুষ্ট হতাম যদি কেউ বলতো ভোট দিতে যেতে বাধা দিচ্ছে। প্রচণ্ড শীতের কারণে ভোটার কম হয়েছে বলে মনে হয়েছে।তিনি আরো বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে। সংসদ নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করবো কি করবো না সে সিদ্ধান্ত এখনে নিইনি।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মাঠে যে প্রশাসন আছে, পুলিশ প্রশাসন দায়িত্বে থাকবে, তাদের ওপর আমাদের নজদদারি থাকবে। ভোটে অত্যন্ত নিরপেক্ষ থেকে যে পুলিশ, প্রশাসন ও আমাদের কর্মকর্তারা পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন আজকেও দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তিনি বলেন, গত ১২ অক্টোবর কিন্তু কেন্দ্রের বাইরে কিন্তু গণ্ডগোল হয়নি। সেজন্য আমরা তাদের দায়ী করতে পারিনি। সিইসি আরো বলেন, যে অভিজ্ঞতা অর্জন করছি সে আমাদের সক্ষমতা বাড়ছে। জাতীয় নির্বাচনে সেটা আরো সমৃদ্ধ করবে বলে আশাকরি।

১২ অক্টোবর অনিয়মের কারণে যাদের শাস্তির সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, তা কার্যকর হয়েছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, সংশ্লিষ্ট পক্ষে থেকে এখনো কোনো উত্তর এখনো পাইনি। তারা সিদ্ধান্ত কার্যকর করে এক মাসের মধ্যে আমাদের জানাবে। তবে চিঠি পেতেই যদি এক মাস লেগে যায়, তাহলে দেরি হবে।