ধামরাইয়ে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ পাঁচজনের মধ্যে ৩ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত: ১০ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:৪০ পিএম

ঢাকার ধামরাইয়ে বাসা বাড়ির গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ আরো দুজনের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় মোট তিন জনের মৃত্যু হলো। ঘটনার একদিন পর ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশু মরিয়ম এবং মঙ্গলবার দিন সকালে জোসনা ও দুপুরের দিকে সাদিয়ার মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জোসনার খালাতো ভাই মাজাহার। এর আগে গত শনিবার (৭ জানুয়ারি) ভোরের দিকে ধামরাইয়ের কুমড়াইল এলাকার কুব্বত আলীর মালিকানাধীন দুতলা বাড়ির নিচ তলার একটি রুমে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

এঘটনায় একই পরিবারের পোশাক কর্মী মনজুরুল (৩২) ও তার স্ত্রী জোসনা (২৫), তাদের দেড় বছরের মেয়ে শিশু মরিয়ম, স্ত্রীর বড় বোন হোসনা (৩০) এবং ভাগনি সাদিয়া (১৮) দগ্ধ হয়। মনজুরুল ও হোসনা চিকিৎসাধীন আছেন। তবে তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

মনজুরুলের বাড়ি নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায়। তিনি পরিবারসহ ধামরাইয়ের কুব্বত আলীর বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি গার্মেন্টসে কাজ করতেন।

নিহত জোসনার খালাতো ভাই মোঃ মাজাহার জানান, গত ৭ তারিখে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় ৫ জনই দগ্ধ হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে ধামরাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। পরে সেখান থেকে তাদের ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পরদিনই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশু মরিয়মের মৃত্যু হয়।

প্রশঙ্গত, মঙ্গলবার ৭ জানুয়ারি ভোরে তারা যখন ঘুমিয়ে ছিলেন তখন বিকট একটি শব্দ শুনতে পান। এরপর ভবনের নিচ তলা থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখেন। সঙ্গে সঙ্গে নিচ তলায় গিয়ে প্রতিবেশিরা দেখেন নিচ তলার রুমে পাঁচজন দগ্ধ অবস্থায় কাতরাচ্ছে। আর আগুনে বিছানার কিছুটা অংশ পুড়ে গেছে। পরে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে ধামরাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: