চোর বলাকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় সংঘর্ষ, আহত ২০

প্রকাশিত: ১১ জানুয়ারি ২০২৩, ১১:৪৩ পিএম

গরু চোর বলায় নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর বাংলাবাজারে দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষের সময় কয়েকজন মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে আশ্রয় নিলে সেখানেও হামলাকারীরা হামলা ও ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ ওঠে।

বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ওই ইউনিয়নের বাংলাবাজারে এ ঘটনা ঘটে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদেরকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহতরা হলেন,মুছাপুর ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ড আ্ওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক খোকন, জহিরুল হক, হামিদুল হক, সিরাজুল হক, নুরউদ্দিন, সিফাত, আলী আব্বাস চান মিয়া,আব্দুল হাই, সোহেল, অহিদ, নুরুদ্দিনসহ ২০জন আহত হয়।

এদিকে মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদে সেবা নিতে আসা লোকজনের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার অভিযোগ করে দুটি পৃথক অভিযোগ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের কাছে। মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী তার পরিষদ কমপ্লেক্সে অফিসিয়াল কার্যক্রম চলা অবস্থায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর ২০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৭০ থেকে ৮০ জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।একই বিষয়ে একই ব্যক্তিদের অভিযুক্ত করে মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ প্রধান শামসুদ্দিন বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আলী আজগর জাহাঙ্গীর বলেন, ‘মুছাপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী ও বাংলাবাজারের ব্যবসায়ী মোজ্জাম্মেল হক খোকার ভাই সেলিম গরু চুরির সঙ্গে জড়িত রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে এলাকায় অনেকগুলো গরু চুরি হওয়ায় তাকে জিজ্ঞাসা করায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে তার লোকজন নিয়ে আমাদের ওপর বাংলাবাজারে হামলা করে আমাদের বেশ কয়েকজনকে আহত করে।’

মোজ্জাম্মেল হক খোকা বলেন, ‘আমার ভাই সেলিমকে গরু চোর আখ্যায়িত করে ক্লোজারে কয়েকদিন আগে জাহাঙ্গীর মেম্বারের লোকজন মারধর করে। আজ সকালেও তারা দেড় থেকে দুইশ লোক অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে অবস্থান করে। সেখান থেকে এসে আমাদের ওপর হামলা করে আমার ভাই জহিরুল হকসহ কয়েকজনকে আহত করে। কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানোর জন্য গেলে সেখানেও জাহাঙ্গীর মেম্বারের লোকজন হামলা চালিয়ে ভর্তি হতে না দেওয়ায় পরবর্তীতে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে গুরুতর আহতদের ভর্তি করা হয়।’

এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাদেকুর রহমান জানান, ঘটনাস্থল মুছাপুর বাংলাবাজারে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মেজবা উল হক ভুঁইয়া ঘটনাস্থলে অবস্থান করছেন। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: