বিএনপির সাবেক এমপির জানাজায় জনস্রোত

প্রকাশিত: ১৩ জানুয়ারি ২০২৩, ০৪:২৬ পিএম

নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি নেতা এম মোজাম্মেল হক হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে গুরুদাসপুর পৌর সদরের নিজ বাসভবনে মারা যান তিনি।

শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টায় গুরুদাসপুর সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তাঁর প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বিএনপি ও আওয়ামীলীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীসহ হাজার হাজার জনগণ উপস্থিত হন। এদিন বাদ এশা রাজধানীর মিরপুর শাহ আলী (র.) মাজার শরীফে দ্বিতীয় জানাজা শেষে বনানী গোরস্থানে তাকে দাফন করা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন তাঁর বড় ছেলে ব্যারিস্টার আবু হেনা মোস্তফা কামাল রঞ্জু। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। তিনি স্ত্রী, তিন ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

দলীয় নেতাকর্মীরা জানান, ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মোজ্জাম্মেল হক। তিনি গুরুদাসপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন এবং পরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। পাশাপাশি এডাবের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে নেতাকর্মিরা একজন অভিভাবককে হারাল বলে মন্তব্য করেছেন গুরুদাসপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. আব্দুল আজিজ।

জানা যায়, বিএনপির সাবেক এই এমপি তাঁর নির্বাচনী এলাকায় খুবজীপুর মোজাম্মেল হক ডিগ্রি কলেজ, রোজী মোজাম্মেল মহিলা কলেজ, আহমেদপুর মোজাম্মেল হক বিদ্যালয়সহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। তিনি দলকে শক্তিশালী করতে নেতাকর্মীদের পাশে থেকে সক্রিয় ও সংগ্রামী ভূমিকা রেখেছেন।

মোজাম্মেল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। এ ছাড়া স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক মো. আব্দুল কুদ্দুস সহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও সাবেক এমপির রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: