শীতকালীন সবজি চাষে লাভবান কৃষকরা

প্রকাশিত: ১৭ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:২৪ এএম

চলতি মৌসুমে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় শীতকালীন সবজি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা। ফুলকপি, বাধাঁকপি, লালশাক, মূলা, বেগুন, লাউ, শিম, পটল, শসা ও করলা সহ নানা রকমের নতুন নতুন শীতের সবজি ক্ষেত।

এমন সবুজ ক্ষেতের দৃশ্য এখন হরহামেশাই চোখে পড়ছে নবাবগঞ্জ উপজেলার বারুয়াখালী, শিকারীপাড়া, জয়কৃষ্ণপুর, বান্দুরা, নয়নশ্রী, যন্ত্রাইল, শোল্লা, আগলা, কৈলাইল, চুড়াইন ইউনিয়ন সহ বেশিরভাগ গ্রামে। চলতি মৌসুমে সবজি চাষ করে লাভের মুখ দেখেছেন অনেক কৃষক।

চাহিদা মেটাতে অনেক গৃহিণী বসতভিটায় সবজি চাষ করছেন। বসতভিটার আশপাশে এসব সবজির চাষ করতে বেশি জায়গারও প্রয়োজন হয় না। পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে এসব সবজি বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয় করেছেন কৃষকরা। লাভবান হওয়ায় দিন দিন বাড়ছে সবজির চাষবাদ।

বারুয়াখালী ইউনিয়নের জৈনতপুর এলাকার গৃহবধু রহিমা বেগম বলেন, ‘অল্প জায়গায় সবজি চাষ করে পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে আবার বাজারেও বিক্রি করছি। এতে সংসারের খরচও যোগাড় হচ্ছে। এবার ফলন ভালো হওয়ায় অল্প সময়ে লাভবান হচ্ছি’।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে শুধু নবাবগঞ্জ উপজেলায় ১৮০০ হেক্টর জমিতে সবজির আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে বেগুন ২১৯ হেক্টর, ঢেড়শ, টমেটো ১৮১, মুলা ১০৯, উচ্ছে ১১, শিম ৯২, গাজর ২, পেঁপে ৩৫, করলা ২০, শসা ২৫, বরবটি ২২, ফুলকপি ১৯৫, বাঁধাকপি ৯৪ হেক্টরসহ অবশিষ্ট জমিতে বিভিন্ন ধরনের সবজির চাষ করেছে কৃষক।

জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের সোনাবাজু এলাকার কৃষক আব্দুল জব্বার বলেন, ‘আমি চলতি মৌসুমে ৩ বিঘা জমিতে ফুলকপির চাষ করেছি। ব্যয় হয়েছে ৫০-৬০ হাজার টাকা। ফুলকপিতে মাজরা পোকার আক্রমণ হলে স্থানীয় নবাবগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে পরামর্শে পোকা দমন করতে সক্ষম হয়। তিনি আরো বলেন, ফুলকপি জমি থেকেই ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে প্রায় চার লক্ষ টাকার মতো বিক্রয় হবে। ভালো দাম পাওয়ায় এ ফসল থেকে লাভের আশা করছি।

রাজাপুর এলাকার কৃষক মোবারক হোসেন বলেন, ‘এবছর ফুলকপির পাশাপাশি লালশাক ও মুলা চাষ করেছি। প্রতি বছরের চেয়ে এবার একটু বেশি লাভের আশা করছি। কৃষি অফিসের সহায়তা পেলে আগামীতে আরও বেশি সবজি উৎপাদনের স্বপ্ন দেখছি।

উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে দেখা গেছে, শীতের নতুন সবজি বেগুন ৫০ টাকা, ফুলকপি ৯০, বাঁধাকপি ৪০, মুলা ৩০, শিম ৮০, মিষ্টি কুমড়া ৪০, পালংশাক ৪০, গাঁজর ১০০ ও শসা ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

নবাবগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা নাহিদুজ্জামান বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় তালায় এবার শীতকালীন সবজি চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ চাষ সফল করার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে কৃষকদের মধ্যে উন্নত জাতের বীজ, সার ও কীটনাশক সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: