প্রচ্ছদ / বিনোদন / বিস্তারিত

বাংলাদেশের খাবারের ধারে কাছেও যাবো না: শ্রীলেখা

   
প্রকাশিত: ৩:৪৪ অপরাহ্ণ, ১৭ জানুয়ারি ২০২৩

ঢাকায় এসেছেন ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। চলমান ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে তার পরিচালনা ও প্রযোজনার প্রথম ছবি ‘এবং ছাদ’।

রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনের সোমবার সন্ধ্যা সিনেমাটি দেখলেন এই তারকা। এরপর জানালেন তার অনুভূতির কথা। শ্রীলেখা বললেন, ‘এটা দারুণ এক অভিজ্ঞতা। এখানে আমি এলাম নিজের নির্মিত ছবি নিয়ে। আমার প্রথম পরিচালিত ছবি এবং আন্তর্জাতিকভাবে প্রিমিয়ার হচ্ছে। তাও আমার ভালোবাসার শহর ঢাকাতে। ঢাকা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে। এটা আমার কাছে বিরাট পাওয়া।’

শ্রীলেখার দাদাবাড়ি মাদারীপুরের ঘটমাঝি গ্রামে। দেশভাগের সময় বাধ্য হয়ে ভারতে পাড়ি দিতে হয়েছে তাদের। ২০১৭ সালের আগে বাবা সন্তোষ মিত্রকে নিয়ে পূর্বপুরুষের ভিটার খোঁজে বাংলাদেশে এসেছিলেন শ্রীলেখা।

অশ্রু আড়াল করে এই শিল্পী বলেন, ‘বাংলাদেশটা আমার কছে আবেগের জায়গা। বাবাকে নিয়ে এর আগে ঘুরে গেছি। বাবা অনেক কথাই বলেন বাংলাদেশ নিয়ে। দেশভাগের সময় আমরা যখন কলকাতায় যাই একদম নিঃস্ব হয়ে গিয়েছিলাম। অথচ আমরা জমিদার পরিবারের লোক। সেখান থেকে সংগ্রাম করতে করতে আমাদের প্রজন্ম বা আমি এ পর্যায়ে এসেছি।’

শ্রীলেখার কথায় ঘুরে ফিরে এলো বাংলাদেশ। প্রশংসা করলেন খাবার আর বাংলা ভাষার। তার ভাষ্য, ‘বাংলাদেশের খাবারের ধারেকাছেও আমি যাবো না। আমাকে দেখে তো বুঝতেই পারছেন। এখানকার খাবার যে টেস্টি, নিজেকে সামলাতে পারবো না। আর একটা কথা না বললেনই নয়, বাংলাটা এদেশেই টিকে আছে। খুব ভালো লাগে এখানকার মানুষদের সঙ্গে কথা বলে। কলকাতায় এখন শুধুই বাংলিশ চলে।’

এদিকে বাংলাদেশ নিয়ে প্রশংসার এক ফাঁকে প্রচ্ছন্ন ক্ষোভও ঝাড়লেন শ্রীলেখা। হরহামেশাই বাংলাদেশের গণমাধ্যমে তাকে নিয়ে চটকদার খবর প্রকাশিত হয়। সাংবাদিকদের এ ধরনের খবর প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়ে এই অভিনেত্রী বললেন, ‘বাংলাদেশের অনেক গণমাধ্যম আমাকে নিয়ে ভুয়া খবর প্রকাশ করে। সাংবাদিকদের অনুরোধ করছি, এ ধরনের চটকদার খবর প্রচার করবেন না। আমার ১৮ বছরের একটা সন্তান আছে।’

না.হাসান/সাএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: