দেওয়ানগঞ্জে যাত্রার প্যান্ডেলে আগুন

প্রকাশিত: ১৯ জানুয়ারি ২০২৩, ০২:৩২ পিএম

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সানন্দবাড়িতে যাত্রার প্যান্ডেলে আগুন দিয়েছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ উত্তেজিত এলাকাবাসী। যমুনা নদীর দুর্গম চরে যাত্রার নামে অশ্লীল নাচ, গান ও জুয়ার আসর বসানোর কারণে প্যান্ডেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান। আজ ১৯ জানুয়ারী চরআমখাওয়া ইউনিয়নের পশ্চিমপাটা ধোঁয়াপাড়ার পশ্চিমে চরে যাত্রাপালার প্যান্ডেলে ইউপি চেয়ারম্যানসহ আগুন দেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

স্থানীয়দের দাবি, যাত্রাপালার নামে অশ্লীল নাচ, গান এবং জুয়ার আসর বসায় আয়োজক কমিটি। রাত গভীর হওয়ার সাথে সাথেই জুয়া খেলায় আসক্ত হতে থাকে স্থানীয় যুবকসহ বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দারা। এতে ধীরে ধীরে স্থানীয় বাসিন্দারা জুয়ার প্রতি আসক্ত হচ্ছে। এছাড়াও এ চরের অধিকাংশ মানুষের প্রধান পেশা কৃষি কাজ। দিনে কাজ করে রাতে ঘুমাবে এইটাই তাদের নিত্যদিনের কাজ। গভীর রাতে বিকট শব্দে গান বাজলে কৃষকদের ঘুমসহ স্থানীয় শিক্ষার্থীদের পড়াশুনায় ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। তাছাড়াও যাত্রা শুরু হওয়ায় গ্রামের চুরের সংখ্যা বেড়ে গেছে।

মোল্লারচর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সাইদুজ্জামান সরকার যাত্রা প্যান্ডেলে আগুন দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চরটি এতই দুর্গম যে, নদী পাড়ি দিয়ে সেখানে পৌঁছ্তে ১ ঘণ্টা সময় লাগে। সেখানেত ১২টার পর যাত্রার নামে অশ্লীল নাচ এবং জুয়ার আসর বসানো হয় এমন তথ্য পাওয়ার পর স্থানীয় লোকজন নিয়ে আমরা উপস্থিত হই। প্রশাসনিকভাবে যাত্রার কোনো অনুমতি না নিয়েই তারা যাত্রার নামে এমন গর্হিত কর্মকাণ্ড চালাচ্ছিল। য
স্থানীয় বাসিন্দাদের উত্তেজিত করে তুলে।

চরআমখাওয়া ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউল ইসলাম জিয়া বলেন, জুয়া এবং অশ্লীল কাজের বিরুদ্ধে আমি সবসময় অবস্থান করি। এখানে যাত্রার নাম করে অশ্লিলকাজ চালানো হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে তাদের এসব কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার নিষেধ করলেও তারা সেই কথা গ্রাহ্য করে নাই। পরবর্তীতে স্থানীয় বাসিন্দারা উত্তেজিত হয়ে তাদের প্যান্ডেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।

চরআমখাওয়া ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউল ইসলাম জিয়া, মোল্লারচর ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুজ্জামান সরকার, মোহনগঞ্জ ইউপি সদস্য মোঃ বাবুল আক্তারসহ স্থানীয় বাসিন্দারা উপস্থিত ছিলেন।

দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ শ্যামল চন্দ্র ধর জানান, যাত্রার প্যান্ডেল যেখানে করা হয়েছে সেটি আমার এরিয়ার খুব কাছাকাছি হলেও উপজেলার বাহিরে। তাই এই বিষয়ে আমি কোন মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: