জামালপুরে একইদিনে দুই গৃহবধূর ৮ সন্তান প্রসব

প্রকাশিত: ২০ জানুয়ারি ২০২৩, ০৬:৫৯ পিএম

জামালপুরের একইদিনে দুই গৃহবধূ চারটি করে মোট ৮টি সন্তান প্রসব করেছে। জেলার ইসলামপুর উপজেলার দুলেনা এবং সরিষাবাড়ী উপজেলার আঞ্জুয়ারা কোল জুড়ে আসে আটটি সন্তান। বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে তাদের একনজর দেখতে হাসপাতালে ভিড় জমান অনেকেই। বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল এবং জামালপুর এপোলো হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের তাদের সন্তান পৃথিবীর আলো দেখে। দুলেনার তিন মেয়ে সন্তান স্বাভাবিক থাকলেও মারা যায় ছেলে সন্তানটি। অপরদিকে আঞ্জুয়ারা চারটি সন্তানসহ তিনি সুস্থ রয়েছেন।

দুলেনা জেলার ইসলামপুর উপজেলার গাইবান্ধা ইউনিয়নের পোড়ার চর মধ্যপাড়া গ্রামের কৃষক সাজু মিয়ার স্ত্রী। সাজু-দুলেনা দম্পতি আগের পাঁচটিসহ মোট ৮ সন্তানের পিতা হতে পেরে আনন্দে আত্মহারা। অন্যদিকে গৃহবধূর আঞ্জুয়ারা সরিষাবাড়ী উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের চর সরিষাবাড়ী গ্রামের কাঠমিস্ত্রি আতাউর রহমান বাবুর স্ত্রী।

হাসপাতাল ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আঞ্জুয়ারা প্রসববেদনা নিয়ে বুধবার (১৮ জানুয়ারি) এপোলো হাসপাতালে ভর্তি হন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ও গাইনি সার্জন ডা. খায়রুল বাশার পলাশ তার অস্ত্রোপচার শুরু করেন। প্রায় ঘণ্টাখানেকের সফল অস্ত্রোপচারে একে একে চারটি কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। অন্যদিকে একইদিনে জামালপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে দুলেনা চারটি সন্তান প্রসব করেন।

সরিষাবাড়ী উপজেলার প্রসূতি দুলেনার স্বামী সাজু মিয়া বলেন, আমার আরও পাঁচটি সন্তান আছে। আজ আরও তিনটি সন্তানের জন্ম হলো। মোট আট সন্তানের বাবা হলাম। আমার এ আনন্দ বলে বোঝাতে পারবো না।

আঞ্জুয়ারার স্বামী আতাউর রহমান বাবুর জানান, ৬ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। কিন্তু এই প্রথম তারা সন্তানের বাবা-মা হলেন। একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম হওয়ায় তিনি অবাক হয়েছেন এবং খুশিও হয়েছেন বলে জানান।

জামালপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের প্রসূতি ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স শিউলি খানম বলেন, আমি ১০ বছর ধরে প্রসূতি ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন করছি। এর আগে কখনো একইদিনে দুই নারীর আট সন্তান প্রসবের ঘটনা দেখিনি। বিষয়টি সত্যিই আশ্চর্যজনক।

হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের চিকিৎসক প্রসন দেবনাথ বলেন, একইদিনে দুই নারীর আট শিশু জন্মের ঘটনা জেলায় বিরল। তবে নির্ধারিত সময়ের আগে জন্মগ্রহণ করায় শিশুদের ওজন কম, এতে কিছুটা ঝুঁকিতে রয়েছে তারা।

গাইনি সার্জন ডা. খায়রুল বাশার পলাশ বলেন, বর্তমানে (আঞ্জুয়ারা) প্রসূতি ও নবজাতকরা সুস্থ আছেন। তবে বাচ্চাদের ওজন যথাক্রমে এক কেজি ৮০০ গ্রাম, এক কেজি ৭০০ গ্রাম, এক কেজি ৬০০ গ্রাম ও এক কেজি ৪০০ গ্রাম। তাদের ওজন কম হওয়ায় উন্নত চিকিৎসা ও পর্যবেক্ষণের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: