হ্যান্ডকাপ পরা লাশের পরিচয়সহ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন

প্রকাশিত: ২০ জানুয়ারি ২০২৩, ০৭:৩৪ পিএম

নাটোরের বড়াইগ্রামে উদ্ধারকৃত হাতে হ্যান্ডকাপ লাগানো আমিরুল ইসলাম আনিসের (৩০) হত্যার রহস্য উন্মোচন হয়েছে এবং হত্যাকান্ডে জড়িত গোলাম আজম (৩২) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিহত আনিস বেলকুচি থানার নাকফাটা বইরা মাসুম গ্রামের মো. সাবের আলী সরকারের পুত্র। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত গোলাম আজম (৩২) নামের এক যুবককে বেলকুচি এলাকা থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গ্রেফতার করেছে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ।

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সিদ্দিক বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে নিহত ও ঘাতকের নাম ঠিকানা জানিয়ে বলেন, তারা উভয়েই অপরাধ জগতের সাথে জড়িত। এরা সংঘবদ্ধ একটি গ্রুপ এবং আন্তজেলা ক্রাইমের সাথে জড়িত। এদের নামে থানায় অসংখ্য মামলা রয়েছে। তারা ছিনতাই, ডাকাতি, ইয়াবা ক্রয়-বিক্রয় বহুবিধ অপরাধের সাথে জড়িত। আটককৃত আসামী গোলাম আজমকে জিঙ্গাসাবাদে এসব তথ্য বেরিয়ে আসে।

তিনি আরো জানান, এ নারকীয় হত্যকান্ডের মূল কারণ ছিনতাইয়ের টাকা ভাগাভাগিতে কম-বেশি হওয়ায় পরিকল্পিতভাবে আসামী আজম তার দুই বন্ধুকে সাথে নিয়ে বাসযোগে সিরাজগঞ্জ থেকে নাটোরের বনপাড়া বাইপাস মোড়ে আসে। পরবর্তীতে ভিকটিম আনিসকে বেলকুচি এলাকা থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বনপাড়া বাইপাসে ডেকে নিয়ে আসে এবং আনিসকে তারা বলে এই এলাকায় একটি বড় ধরণের অপারেশন করতে হবে।

পরে তাকে ৩ বন্ধু মিলে বড়াইগ্রাম উপজেলার মাঝগাঁও গ্রামের বোয়ালমারী বিলে নিয়ে যায়। সুযোগ বুঝে পেছন থেকে ৩ বন্ধু মিলে তাকে জাপটে ধরে পিঠমোড়া দিয়ে হেন্ডকাপ লাগিয়ে দেয়। একই দড়ি দিয়ে গলা থেকে পা পর্যন্ত পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তার মুখমন্ডল থেঁতলিয়ে দেয়। আসামী গোলাম আজম হেন্ডকাপের উৎস সম্পর্কে এড়িয়ে যায় এবং বলে ওইটা অপর এক বন্ধু কোন এক জায়গা থেকে নিয়ে এসেছে।

উল্লেখ্য, আসামী গোলাম আজমের বোনের বাড়ি বনপাড়া এলাকায়। সে এক সময় বোনের বাড়ি থেকে লেখা-পড়া করেছে। সে এলাকা চিনে ও জানে বলেই ভিকটিমকে বনপাড়া এলাকায় নিয়ে আসে।

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সিদ্দিক আরো জানান, আসামী গোলাম আজমকে মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকী আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: