এইডস লুকিয়ে বিয়ের চেষ্টা, কনের বাবাসহ বরকে ধরে নিয়ে গেল পুলিশ!

প্রকাশিত: ২২ জানুয়ারি ২০২৩, ০৯:৩৭ এএম

নাবালিকা মেয়ের বিয়ে আটকাতে গিয়েছিলেন স্থানীয় আশাকর্মী। ব্যবস্থা করেন বিয়ে আটকানোর। এমনকি বিয়েতে আপত্তি জানিয়ে পাত্রের খোঁজখবর নেন তিনি। আর তাতেই বেড়িয়ে আসে আসল তথ্য! কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে বেরিয়ে আসে কেউটে। জানা যায়, পাত্র এইচআইভি পজিটিভ। নিজের রোগ লুকিয়ে দিব্যি বসে পড়ছিল বিয়ের পিঁড়িতে। এরপরই পুলিশ এসে সবাইকে থানায় তুলে নিয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর থানার আশুতিয়া গ্রামে।

একাধিক ভারতীয় গনমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, নাবালিকা মেয়ের বাড়ির হতদরিদ্র অবস্থা। সংসারের কষ্ট লাঘব করতে নাবালিকা মেয়েকে চুপিচুপি বিয়ে দিয়ে দিচ্ছিলেন বাবা-মা। এতটাই গোপনে বিয়ের আয়োজন করা হচ্ছিল, যাতে কাকপক্ষীও টের না পায়। কিন্তু বিয়ের সকালে বাড়িতে তোড়জোড় শুরু হতেই ঠিক খবর চাউর হয়ে যায় গ্রামে। এরপরই নাবালিকার বিয়ে রুখতে সকাল সকাল সেখানে ছুটে আসে স্থানীয় আশাকর্মী।

এসময় কেন নাবালিকা কন্যার বিয়ে দিচ্ছেন? এই প্রশ্ন তুলে বিয়েতে আপত্তি জানান তারা। কিন্তু পাত্রীর বাড়ির আপত্তির মুখে ফিরে আসেন। পরে তারা খোঁজ নেন পাত্রের। জানতে পারেন, ছেলের বাড়ি পাশেই পূর্ব রাধাপুর গ্রামে। এরপর ছেলের বিষয়ে খবর নিতে সরাসরি যোগাযোগ করেন সেই গ্রামের আশাকর্মীর সঙ্গে। তখনই আসল রহস্য বেরিয়ে আসে। জানতে পারা যায়, যুবক কর্মসূত্রে ভিনরাজ্যে থাকেন। তিনি এইচআইভি পজিটিভ। এখনও স্বাস্থ্য দপ্তরের অধীনে তার চিকিৎসা চলছে। সেখানে গেলেই সব তথ্য পাওয়া যাবে।

পরবর্তীতে এই খবর শোনামাত্র চোখ কপালে ওঠে ওই আশাকর্মীর। নিজের রোগ লুকিয়ে যেভাবে তিনি একজনকে বিয়ে করতে চলেছিলেন, তা বড়সড় অপরাধের সমান। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান। খবর পেয়ে ভগবানপুর থানার পুলিশ আসে গ্রামে। অভিযুক্ত বর ও তার সঙ্গীদের থানায় তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।

তবে বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চায়নি কন্যাপক্ষ বা পাত্রপক্ষের কেউই। এমনকি গ্রামবাসীরাও এই ঘটনা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। অভিযুক্ত যুবকের পাশাপাশি ওই নাবালিকা কন্যা ও তার বাবা কালীপদ দাসকেও থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। নিজের এইচআইভির কথা লুকিয়ে যুবকের বিয়ে করতে যাওয়ার ঘটনায় জোর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গ্রামে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: