নাগেশ্বরীতে ইউপি চেয়ারম্যানের উপর হামলা মামলায় ৩ জন গ্রেফতার

প্রকাশিত: ২৪ জানুয়ারি ২০২৩, ০৭:৪২ পিএম

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে সোমবার রাতে চেয়ারম্যানের উপর অতর্কিত হামলা মামলায় ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারী) নাগেশ্বরী থানা পুলিশ কর্তৃক তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত জেমস্ ব্যাপারী (৩৮),পিতা- শামসুল হক, গ্রাম- কুটিবামনডাঙ্গা,মিলন ব্যাপারী(৪৫) পিতা- মজিবর ব্যাপারীর ও আখলাদ হোসেন (৫৫) পিতা- ছফর আলী বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, সোমবার (২৩ জানয়ারী) রাত নয়টার দিকে বামনডাঙ্গা বন্ধুর বাজারে নিজের অফিসে কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করছিলেন বামনডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রনি। এ সময় উপজেলা জাতীয় পার্টির নেতা ওই ইাউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেনের ছোটভাই সৈয়দ ও টুনকুর নেতৃত্বে ১০-১২জন দূর্বৃত্ত লাঠি, লোহার রড নিয়ে তার উপরে অতির্কতে হামলা চালিয়ে এলোপাথারী মারপিট শুরু করে। এতে মাথা ফেটে গিয়ে গুরুতর আহত হন চেয়ারম্যান রনি। মারপিট শেষে দূর্বৃত্তরা সটকে পড়ে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নাগেশ্বরী হাসপাতালে পাঠায়। পরে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার তাকে ঢাকায় নেয়া হয় বলে স্থানীয়রা জানায়।

এ ঘটনায় সোমবার রাতেই নাগেশ্বরী থানায় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করেন চেয়ারম্যান রনির বাবা শাহ আলম। পরে মঙ্গলবার অভিযান চালিয়ে অভিযোগ সুত্রে উপরোক্ত আসামিদের নাগেশ্বরী থানা পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার করা হয়।

এ বিষয়ে উক্ত ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন জানান, বিনা কারনে চেয়ারম্যানের বাবা শাহ আলম রবিবার সন্ধ্যায় বন্ধুর বাজারে আমাকে প্রকাশ্যে মারধর করে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। এই ক্ষোভ থেকেই সোমবার চেয়ারম্যানের উপরে হামলা চালায় জনতা। শুনেছি উত্তেজিত জনতার দলে আমার ছোট দুইভাইও ছিল। তবে বিস্তারিত জানিনা।

নাগেশ্বরী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নবীউল হাসান জানান, এ ঘটনায় ১০/১২ জনের নামে মামলা হয়েছে। ইতিমধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: