কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়লেও কমেনি গরুর হালের কদর
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে কৃষকের খেত খামারে ও কৃষি কাজে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়লেও কমেনি গরুর হালের কদর। হাল চাষ করে জমি কাদা করা, মই দিয়ে টেনে জমি সমান করাসহ নানা কাজে কৃষকের কাছে গরুর হালের কদর রয়েছে আগের মতোই।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখাগেছে, বর্তমানে ইরি-বোরো ধান চাষের ভরা মৌসুম চলছে। কোদাল দিয়ে জমি সমান করা, খেতে চাষকরা, পানি দেয়া, খেতের আইল ঠিক করা, আগাছা পরিষ্কার ও গোবর সার ছিটানোসহ নানা কাজে দারুণ ব্যস্ত কৃষক। এক সময় ফসল উৎপাদনের জন্য গরুর হাল চাষই ছিলো কৃষকের একমাত্র মাধ্যম। বিশ্বে কৃষিতে আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশের কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয় আশির দশক থেকে। যেসব জমিতে যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে ট্রাক্টর বা পাওয়ার টিলার নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না, সেসব জায়গায় এখনো গরু দিয়েই জমিতে হাল চাষ করা হয়। ট্রাক্টর বা পাওয়ার টিলার দিয়ে জমি চাষ করলেও তা মই দিয়ে সমান করতে গরুর কোন বিকল্প নেই।
কৃষকরা জানান, কাক ডাকা ভোরে কৃষকরা গরু ও কাঁধে লাঙ্গল-জোয়াল নিয়ে বেড়িয়ে যেতো মাঠে। নিজের সামান্য জমির পাশাপাশি অন্যের জমিতে হাল চাষ করে তাদের সংসারের ব্যয়ভার বহন করতেন তারা।
উপজেলার পাইকেরছড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায় গরু দিয়ে হাল চাষ করছেন কৃষক মজিবর রহমান। হাল চাষের গরুগুলো তার নিজেরই। তিনি জানান নিজের আড়াই বিঘা জমি গরু দিয়েই চাষ করেছেন। এছাড়াও অন্যের প্রতি বিঘা জমি দুই শীর মই দিতে ৪০০ টাকা নিচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুজন কুমার ভৌমিক জানান, গরু দিয়ে হাল চাষ পদ্ধতি পরিবেশ বান্ধব হলেও কৃষকের শ্রম, সময় ও অর্থ বাঁচাতে প্রযুক্তির ব্যবহারের কোন বিকল্প নেই।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: