৪ ফেব্রুয়ারি গণতন্ত্র মঞ্চের বিক্ষোভ সমাবেশ

প্রকাশিত: ২৫ জানুয়ারি ২০২৩, ০৫:৩১ পিএম

গ্যাস, তেল, বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ ও সব রাজবন্দিদের মুক্তির দাবিতে ৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানীসহ সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চের পক্ষ থেকে। বুধবার (২৫ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পূর্বে ঘোষিত কর্মসূচি বিক্ষোভ সমাবেশ পালন করে গণতন্ত্র মঞ্চ। এ সমাবেশে নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। গণতন্ত্র মঞ্চের প্রধান সমন্বয়ক ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক জানান, ওই দিন (৪ ফেব্রুয়ারি) গণতন্ত্র মঞ্চ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করবে। তিনি বলেন, বিরোধী দলের যুগপৎ আন্দোলনে সরকারের কাঁপন শুরু হয়েছে। আগামী শীত পর্যন্ত এই সরকার টিকবে না। মান্না বলেন, আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং রাষ্ট্র পরিচালনার কাঠামো পরিবর্তন ও জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য রাজপথে নেমেছি। রাজপথে আছি, রাজপথে থাকব। তবে কোনো দলকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য আমরা লড়াই করছি না।

এ সময় সরকারের কঠোর সমালোচনা করে মান্না বলেন, দেশ চলছে না। রিজার্ভ নেই। ঋণের জন্য সরকার আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের কাছে ধর্না দিয়েছে। ঋণ পায়নি। আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংক সরকারের কাছে যেসব প্রশ্ন করেছে তার জবাব দিতে পারেনি। তিনি বলেন, কিভাবে দেশ পরিচালনা করবে সেজন্য সরকার এখন বেসামাল হয়ে পড়েছে। কারণ সামনে রোজা পেয়াজঁসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়তে শুরু করেছে। সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। খুবই জরুরি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করবে সে টাকা সরকারের কাছে নেই।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ’৭২ এর সংবিধান হচ্ছে দেশে স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে টিক সই করার। এই সংবিধানের কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার একক ক্ষমতা বলে জমিদারী প্রথা চালু করেছেন। ১৯৭৩ সালের মতো আজ ২০২৩ সালে শেখ হাসিনা নতুন বাকশাল গঠন করার চেষ্টা করছেন। সরকারের ভাবটা এরকম যে দেশ স্বাধীনের জন্য আমরা যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছি, আমরা লুটপাট করব। আমরা রাষ্ট্রের টাকা বিদেশে পাঠাব। সবই আমাদের ইচ্ছা।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: