দোহারে আট বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেফতার ১

প্রকাশিত: ২৫ জানুয়ারি ২০২৩, ০৭:০২ পিএম

ঢাকার দোহারের ইসলামপুর এলাকায় আট বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শিশুটি ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণীর শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম (৪৫) নামে একজনকে আটক করেছে দোহার থানা পুলিশ। স্থানীয় ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, দোহার পৌর এলাকার ইসলামপুর খালপাড় গ্রামে গত ১০/১২ দিন আগে বিকেলে দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে শিশুটিকে ডেকে পাশের নির্জন জঙ্গলে নিয়ে যায় শহিদুল। এরপর তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

এ সময় শিশুটি চিৎকার করতে চাইলে তার মুখ চেপে ধরে। প্রায় ৪০ মিনিট নির্যাতন করে শিশুটিকে ছেড়ে দেয় শহিদুল। পরে ৫০ টাকা শিশুটির হাতে দিয়ে চকলেট খেতে বলে এবং ঘটনার বিষয়ে কাউকে বলতে নিষেধ করে। রক্ত মাখা অবস্থায় মেয়েটি বাড়িতে আসলে তার মা বিস্তারিত জানতে চায়। ঘটনা শুনে বিষয়টি নিয়ে বিচার চাইতে গেলে শহিদুলের পরিবার শিশুটির মাকে হুমকি ধামকি দেয় বলে অভিযোগ করেন শিশুটির মা।

ঘটনা জানা জানি হলে স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে মঙ্গলবার রাতে অভিযুক্ত শহিদুলকে মারধর করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছায় দোহার থানা পুলিশ। পরে রাতেই দোহার থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন ভুক্তভোগী শিশুটির বাবা মো. সামাদ মোল্লা। যার দোহার থানায় মামলা নং-১৯/ ২৫-০১-২০২৩।

এদিকে মঙ্গলবার রাতে অভিযুক্ত শহিদুলের বাড়িতে এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকদের ওপর ক্ষিপ্ত হন স্থানীয় হেমায়েত হোসেন ও অভিযুক্ত শহিদুলের ভাই বাহাদুর।

ভূক্তভোগী শিশুটির বাবা সাংবাদিকদের বলেন, “আমারা গরিব মানুষ। রিক্সা চালিয়ে কোন মতে সংসার চালাই। ঠিকমত তিনবেলা খেতে পারিনা। আমার মেয়ের এমন ক্ষতি করার পরেও বিচার চাইলে তারা হত্যার ভয় দেখায়। আমি পুলিশের সহায়তায় এর সঠিক বিচার চাই, যাতে অন্য কোন গরিব পরিবারের জীবনে এমন ঘটনা না ঘটে।

এ বিষয়ে দোহার থানা ওসি মো. মোস্তফা কামাল বলেন, শিশু ধর্ষণের এ ঘটনায় দোহার থানায় শিশুটির বাবা বাদি হয়ে অভিযুক্ত শহিদুলের নামে একটি ধর্ষণ মামলা করেছেন। প্রধান আসামি শহিদুলকে আমরা গ্রেফতার করে সরকারি হাসপাতালে পুলিশি হেফাজতে রেখেছি। শীঘ্রই তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে ও শিশুটিকে স্বাস্থ্য পরিক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হবে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: