বিয়ে করে টাকা, স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেওয়া তার পেশা

প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:০৪ পিএম

জয়পুরহাটে প্রতারণার মাধ্যমে পাঁচ বিয়ে করে অর্থ ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেয়া প্রতারক চক্রের মূলহোতা মেহেদী হাসানকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট র‌্যাব-৫ ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর মো. মোস্তফা জামান। মেহেদী হাসান (২৮) নিজেকে ঠিকাদার, কখনো বালুমহালের ইজারাদার, আবার কখনো বিত্তশালী ব্যক্তি হিসেবে পরিচয় দিতো।

প্রতারণার মাধ্যমে ওই যুবক ইতিমধ্যে ভুয়া কাবিননামায় করেছেন ছয়টি বিয়ে। শ্বশুরবাড়ি থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নিয়েছেন। এমন অভিযোগে জয়পুরহাট সদর থানায় করা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। গ্রেপ্তার মেহেদী হাসানের বাড়ি জয়পুরহাট সদর উপজেলার পাঞ্চাতীপাড়া কেন্দুলী গ্রামে।

র‍্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ২০ জানুয়ারি মেহেদী হাসানের ষষ্ঠ স্ত্রী র‍্যাবের কাছে অভিযোগ করেন, তাঁর স্বামী মেহেদী নিজেকে ঠিকাদার, ইজারাদার ও বিত্তশালী পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ছয়টি বিয়ে করেছেন। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ি থেকে লাখ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেন। পরে অন্য এলাকায় গিয়ে একই কাজ করেন। এ কাজে মেহেদীকে সহযোগিতা করেন তাঁর দুই সহযোগী লতিফ (২৫) ও মিন্টু হোসেন (২৪)।

এমন অভিযোগ পাওয়ার পর র‍্যাব-৫ ক্যাম্প থেকে ছায়া তদন্ত শুরু করা হয় এবং এর সত্যতা পাওয়া যায়। পরে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে জয়পুরহাট সদর থানার জামালপুর এলাকা থেকে মেহেদীকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। এ সময় তাঁর দুই সহযোগী লতিফ ও মিন্টু পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে জয়পুরহাট র‍্যাব ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর মোস্তফা জামান সংবাদমাধ্যমকে জানান, মেহেদী হাসান প্রতারণা করে ছয়টি বিয়ে করেছেন। তিনি শ্বশুরবাড়ি থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নিয়েছেন। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর তাঁকে গ্রেপ্তার করে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: