বরগুনায় ঝুঁকি নিয়ে সেতু পারাপারে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা, নজর নেই কর্তৃপক্ষের

প্রকাশিত: ৩০ জানুয়ারি ২০২৩, ০৯:৫৭ পিএম

বরিশাল- বেতাগী- বরগুনা আঞ্চলিক সড়কের বেতাগী পৌর এলাকায় খালের ওপর সেতুটি দুই বছর আগে ভেঙে যায়। এরপর ঝুলন্ত অবস্থায় সেতুটি খালে পড়ে থাকলেও বিকল্প সেতু দিয়ে মানুষ আতঙ্কের মধ্যে পারাপার হচ্ছে। ঘটছে প্রায়ই দুর্ঘটনা।

এতে দুই বছর ধরে কেউ মারা না গেলেও পারাপারের সময় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। বরিশাল-বেতাগী-বরগুনা আঞ্চলিক সড়কটি উপকূলীয় জনপদের যোগাযোগের একমাত্র ভরসা। শিশু,নারী ও বৃদ্ধ, স্কুল-কলেজ- মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের চলাচলেও অনেক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

যোগাযোগ সচল করতে সেই থেকে প্রতিদিন এখানকার বাসিন্দারা ভাঙা সেতুর ওপর অস্থায়ীভাবে ষ্টিলের বিকল্প সেতু তৈরি করে চলাচল করে আসছে। প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ হাজার মানুষ সাইকেল, মোটরসাইকেল, অটোরিক্সা, বাস-মিনিবাস, প্রাইভেটকার, ট্রাক্ট,মাহেন্দ্রে সহ ছোট-বড় ও ভারী যানবাহনে এবং বিশেষ করে রড, সিমেন্ট, ইট, পাথর, বালু, কৃষকের উৎপাদিত ফসল বোঝাই মালামাল ঝুঁকি নিয়ে চলতে গিয়ে পরিবহনে চরম সমস্যা হচ্ছে।

জানা গেছে, ২০২১ সালের শুরুতে সেতুটি ভেঙে যাওয়ার পর বরিশাল-বেতাগী-বরগুনার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এ এলাকাবাসীর যোগাযোগ। পরপরই বেতাগী পৌরসভার মেয়রের অনুরোধে চলাচলের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগ ভাঙা সেতুর ওপর অস্থায়ীভাবে ষ্টিলের বিকল্প সেতু তৈরি করে। এ সেতুতে দৈনন্দিন আহতের ঘটনা ঘটলেও দ্রুত কোনো উদ্যোগ নিচ্ছেনা কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয় বাসিন্দা বুদ্ধদেব সমাদ্দার বলেন, ‘সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় অনেক অসুবিধা হচ্ছে। প্রায়শই অ্যাক্সিডেন্ট হয়ে মানুষ আহত হয়। সেতুটা খুব দরকার। সরকারের কাছে আবেদন করি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেতুটি নির্মাণ করে দেওয়া হোক।

এ রুটের সিকদার ক্লাসিক পরিবহনের চালক আব্দুস সালামসহ একাধিক বাস চালক বলেন, ‘এ সেতু থেকে প্রায়ই মানুষ ও যানবাহন পড়ে যায়। অনেক সময় রাতে চলাচল করতে গিয়ে আতঙ্কে থাকতে হয়। এ জনপদের মানুষের জন্য নতুন করে সেতুটা নির্মাণ করা খুবই দরকার।

বেতাগী পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রভাষক রমেন চন্দ্র দেবনাথ বলেন, সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় সর্বসাধারণের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিকল্প ষ্টিলের সেতু তৈরি হলেও অপরিসর হওয়ায় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।

এ বিষয়ে বেতাগী পৌরসভার মেয়র এবিএম গোলাম কবির বলেন, ২০২১ সালের সেতুটি ভেঙে যাওয়ার পর যোগাযোগ সচল রাখতে সংশ্লিষ্টদের একটি বিকল্প সেতু তৈরির অনুরোধ করে ছিলাম। গত মাসে জেলা মাসিক সন্বয় সভায় বিষয়টি উত্থাপন করি। সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী যতদ্রুত সম্ভব সেতুটি নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

বরগুনা সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর জানায়, ইতোমধ্যে সেতুটির ডিজাইন ও প্রাক্কলন করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে। আশা করা যায় দ্রুত সেতুটি নির্মাণ করা হবে।

বরগুনা ও পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী এ.এম আতিকুল্লাহ‘র সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: