কুষ্টিয়ায় কৃষক লীগের বহিষ্কৃত নজরুল ইসলাম আবারো বিতর্কিত

প্রকাশিত: ৩১ জানুয়ারি ২০২৩, ০১:০১ পিএম

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নের চার মাইল ফজলুল হকের পুত্র নজরুল ইসলাম প্রধান কুষ্টিয়া থানা কৃষক লীগের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। নজরুল ইসলাম প্রধানের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ থাকলেও কোন ব্যবস্থা না হওয়াই নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তার বিরুদ্ধে জমি দখল নারি কেলেঙ্কারি, দলের সুনাম ক্ষুন্ন করা ও ক্ষমতার অপব্যবহার সহ নানা ধরনের কুকর্মের সাথে তিনি জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অবশেষে এই অভিযোগগুলা প্রমাণিত হওয়ায় ১১ আগস্ট ২০২২ ইং তারিখের জরুরি সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে মোঃ নজরুল ইসলাম প্রধান বটতৈল কে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা কৃষক লীগের আহবায়ক পদ থেকে বাংলাদেশ কৃষকলীগ কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি মোঃ মকবুল হোসেন লাবলু ও সাধারণ সম্পাদক এম এ মোমিন মন্ডল এর স্বাক্ষরিত দলীয় প্যাডে তাকে বহিষ্কার করা হয়।

গত ৯ আগস্ট স্বপ্না খাতুন নামে একটি মেয়েকে নজরুল ইসলাম প্রধান ও তার সহযোগী বটতৈল দক্ষিণপাড়া ইউনুস আলী ও নুরুল ইসলাম মনির পুত্র নিপলু ফকির তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ চালায়। সেই সাথে তাকে অমানবিকভাবে নির্যাতন মারপিট মুখমন্ডলে আক্রমণ করে। তার চারটা সেলাই লাগে। এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনার সৃষ্টি হলে বিষয়টি নেতাদের নজরে আসে। এই আক্রমণের পরপরই স্বপ্না কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ে কোনো রকম জানে বেঁচে যাই।এ ঘটনায় কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি মামলা হয় যার নাম্বার ১৭।

এছাড়াও বর্তমানে কুষ্টিয়া জেলা কৃষক লীগকে বিতর্কিত করার গভীর ষড়যন্ত্র মেতে উঠেছে নজরুল ইসলাম প্রধান এমন অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। নেতা কর্মীরা অভিযোগ করে বলেন কুষ্টিয়া গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ২২ এ কুষ্টিয়া জেলা কৃষক লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন আবার নারী কেলেঙ্কারি ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে নজরুল ইসলাম প্রধান (বটতৈল) কে ১১ আগস্ট ২২ এ কুষ্টিয়া সদর উপজেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর পরে সে কি ভাবে কুষ্টিয়া জেলা কৃষক লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদ ব্যবহার করে কিভাবে দলীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে।

তাও আবার কাদেরকে নিয়ে যারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাকে অমান্য করে ইউপি নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল তাদেরকে নিয়ে। সম্প্রতি এমন ঘটনায় ঘটিয়েছে নজরুল ইসলাম প্রধান যার কারণে দলের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে নেতা কর্মীদের মধ্যে।

উল্লেখ্য, গত ২১ জানুয়ারি ২৩ বেলা ১২ টায় কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের হোসেনাবাদ হাসু চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে বাংলাদেশ কৃষক লীগের দৌলতপুর উপজেলা শাখার ত্রি বার্ষিক সম্মেলনকে সামনে রেখে মতবিনিময় সভায় যোগদান করে এমন বিতর্কের সৃষ্টি করেছে নজরুল ইসলাম প্রধান। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ মোমিন মন্ডল। কুষ্টিয়া জেলা কৃষক লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সিগনেচারে ও দলীয় প্যাডে নজরুল ইসলাম প্রধানকে বহিষ্কার করা হয়। অথচ সাধারণ সম্পাদক মোমিন মন্ডল এর অনুষ্ঠানে বিতর্কিত ও বহিষ্কৃত নজরুল ইসলাম প্রধান উপস্থিত থাকার মত দুঃসাহস কিভাবে দেখায়। এমন ঘটনায় সমালোচনার ঝড় তুলেছে কুষ্টিয়া জেলা জুড়ে।

সদর উপজেলার কৃষকলীগের বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের সাথে দেখা করে সে তার স্বপদে ফিরে আসার মতো বিভ্রান্ত মূলক তথ্য ছড়াচ্ছে এমন তথ্যকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীরা বিভ্রান্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

কুষ্টিয়া জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোমিন মন্ডল এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে সে ফোন রিসিভ করে নাই। এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা কৃষক লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক পদ থেকে বহিষ্কৃত নজরুল ইসলাম প্রধানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলা কৃষকলীগ থেকে আমাকে বহিষ্কার করেছে এটা সত্য।

আমি স্বেচ্ছায় জেলা কৃষক লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদ থেকে পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছিলাম এটাও সত্য। কিন্তু জেলায় পদত্যাগ পত্র জমা দিলে এটা কার্যকর হয় না। কেন্দ্র থেকে করতে হয়। আমি কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে কথা বলেছি তারা এমন কোন নির্দেশনা বা কাগজপত্র দেই নাই বা আমি পাই নাই। আমি নিজের ইচ্ছায় দৌলতপুরের কৃষক লীগের অনুষ্ঠানে যোগদান করেছিলাম। আমাকে কেউ দাওয়াত করি নাই।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: