‘আমি ভোটে না দাঁড়াইলে ভোটাররা ঘর থেকে বের হতো না’

একতারা প্রতীক নিয়ে বগুড়া ৬ এবং ৪ আসনের উপনির্বাচনে থাকা স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম বলেছেন, ‘আমি ভোটে না দাঁড়াইলে ভোটাররা ঘর থেকে বের হতো না’। খুব বেশি ভোটার উপস্থিত হবে না। ভোট নিয়ে মানুষের মনে ভয় আছে। ভোটারদের আগেকার সাহস বিশ্বাস নেই। এই ভয় দূর করার জন্য নির্বাচনে সুষ্ঠু ভোট দরকার।

বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) বেলা তিনটার দিকে বগুড়া ৪ আসনের (নন্দীগ্রাম-কাহালু) চাকলমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকের এসব কথা বলেন। এ সময় তার সাথে অর্ধশতাধিক ইউটিউবার ছিলেন। মূলত তাদের কারণে হিরো আলমের নির্বাচনী কেন্দ্র পরিদর্শন কার্যক্রমে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। বগুড়ায় উপনির্বাচনে নিজের ভোট দিয়েছেন আলোচিত-সমালোচিত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।

বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বগুড়া সদরের এরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন তিনি। তিনি বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) দুই আসনেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এর আগে আজ সকালে নিজের ভোট দেওয়া শেষে হিরো আলম সাংবাদিকদের বলেন, 'সুষ্ঠভাবে ভোট হলে আমি দুই আসনেই বিপু ভোটে জয়লাভ করব। এখন পর্যন্ত সব পরিবেশ ভালো আছে। তবে সদরের এক কেন্দ্রে আমার এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ভোটারদের কাছে অনুরোধ সবাই এসে ভোট দিবেন।'

চাকলমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান বলেন, ভোটার উপস্থিতি খুবই কম। এ কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ হাজার ৫৫৯। বেলা ২ টা ৫৫ পর্যন্ত ভোট দিয়েছেন ৫৫৪ জন।

বগুড়ায় উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হওয়া এই ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া চলবে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত। এই দুই আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন হিরো আলম। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বগুড়া সদরের এরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন তিনি।

নির্বাচন উপলক্ষে দুই আসনে ৩ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটে ও ৩৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছেন। পাশাপাশি ১৪ প্লাটুন বিজিবি ও র‍্যাব ১৭ টহল দল মোতায়ন আছে। এ ছাড়াও ভোটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সাড়ে ৪ হাজার নিরাপত্তা কর্মী কাজ করছেন।