ঢাবিতে ছাত্রলীগের বাঁধায় কাওয়ালি পণ্ডের অভিযোগ, মারধরের শিকার শিল্পী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) কাওয়ালি গানের আসর বসার পূর্বেই কাওয়ালি ব্যান্ড ‘সিলসিলা’র প্রতিষ্ঠাতা শিল্পী লুৎফর রহমানের ওপর হামলা করার অভিযোগও উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। তবে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট বলে ছাত্রলীগের দাবি।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) ডাচ বাংলা ব্যাংকের বুথের সামনে এ ঘটনা ঘটে বলে। লুৎফরকে আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়েছে। আহত কাওয়ালী শিল্পী লুৎফর রহমান ছাত্র অধিকার পরিষদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ছাত্র অধিকার পরিষদের সংগঠক আসিফ মাহমুদ, টিএসসিতে সিলসিলা ব্যান্ডের গান করার কথা ছিল। আমরা গিয়ে দেখি ছাত্রলীগের কয়েক নেতা কর্মী সেখানে ঘোরাঘুরি করছে। তখন আমরা সেখান থেকে চলে আসি। লুৎফর ভাইকেও চলে আসতে বলি, ততক্ষণে ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের নির্দেশে ১০ থেকে ১২ জন জড়ো হয়ে লুৎফর ভাইয়ের ওপর হামলা করে।
ভুক্তভোগী লুৎফুর রহমান বলেন, আমি আমার আইডি থেকে পোস্ট করেছিলাম আমরা সিলসিলার পক্ষ থেকে ক্যাম্পাসে কাওয়ালির আয়োজন করব। আমি টিএসসি আসার সময় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈকতের অনুসারীরা আমাকে ঘিরে রাখে। তাদের গতিবিধি লক্ষ্য করে আমি সরে বইমেলার দিকে আসি। কিন্তু টিএসসির ডাচ-বাংলা ব্যাংকের বুথের সামনে ৩০-৪০ জনের গ্রুপ থেকে ১০-১৫ জন এসে আমার ওপর আক্রমণ শুরু করে এবং মারধর করে।
ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাবি শাখার সাবেক অর্থ সম্পাদক আহনাফ সাঈদ খান বলেন, আমরা বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক কাওয়ালির আসরের আয়োজন করে থাকি। আজও এই উদ্দেশ্যে আমরা ৬/৭ জন টিএসসিতে এসেছিলাম। কিন্তু আমরা ছাত্রলীগের হামলার আশঙ্কা টের পেয়ে স্থান ত্যাগ করি। সিলসিলার প্রতিষ্ঠাতা লুৎফর ভাই আমাদের একটু পরে এসেছেন, এজন্য আমরা ওই মুহূর্তে তাকে ছাত্রলীগের কথা জানাতে পারিনি। তখনই তার উপর হামলা হয়।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, ছাত্রলীগ মারধরের রাজনীতি করে না। সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট তথ্য তারা ছড়াচ্ছে মিডিয়া কাভারেজ পাওয়ার জন্য। লাইভে এসে তারা গুজব ছড়ায়। তাছাড়া আমি একজন ভিক্ষুক মহিলার বাচ্চাকে বই দেওয়ার জন্য গিয়েছিলাম। কারও সঙ্গে কথা কাটাকাটিও হয়নি, আমার কর্মীরা আমার সঙ্গে ছিল তারাও মারধর করেনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানী বলেন, আমি প্রক্টরিয়াল বডিকে খোঁজ নিয়ে আমাদের জানাতে বলেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শাকিল/সাএ
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]

পাঠকের মন্তব্য: