চাটমোহরে দুইদিন ব্যাপী কবিতা উৎসব শুরু

ছবি : প্রতিনিধি
‘কবিতা আনুক চিত্তের মুক্তি’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে পাবনার চাটমোহরে শুরু হয়েছে দুইদিন ব্যাপী কবিতা উৎসব। শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় চাটমোহর উপজেলার কুমারগাড়া গ্রামে একান্ত নামের বাসভবনের কাঞ্চনতলায় এই উৎসব উদ্বোধন করা হয়। ‘আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে’ গানের সুরে প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে কবিতা উৎসব উদ্বোধন করেন কবি গগন ঘোষ।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে একান্তের পরিচালক আব্দুর রশিদ, সহকারি অধ্যাপক শাহীন মনোয়ার, কবি মোশারফ হোসেন মুসা, নাট্যকার আসাদুজ্জামান দুলাল, সাংবাদিক রকিবুর রহমান টুকুন, কবি ফকির খালেদ, নজরুল ইসলাম, শাহনাজ পারভীন, সালমা খাতুন উপস্থিত ছিলেন।
পরে অনুষ্ঠানস্থলের পাশে প্রদীপ জ্বালিয়ে ও ফিতা কেটে চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন অতিথিরা। প্রদর্শণীতে গৌতম কুন্ডুর সুচিকর্ম, তপু দাসের পেইন্টিং ও মাসুদ রানার আলোকচিত্র প্রদর্শণ করা হয়েছে। মাহফুজা জেসমিনের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন, অনুষ্ঠানের আহবায়ক আব্দুর রশিদ।
দুপুর থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত কবিতা পাঠ এবং সন্ধ্যা সাতটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত সঙ্গীত ও নাট্যানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে পাবনা সহ বিভিন্ন জেলার অর্ধ শতাধিক কবি ও সাহিত্যিক অংশগ্রহণ করছেন। আগামীকাল ৪ ফেব্রুয়ারী শেষ হবে দু’দিনের এ আয়োজন।
আয়োজন নিয়ে কবি গগন ঘোষ বলেন, প্রত্যন্ত গ্রামে এমন কবিতা উৎসবের আয়োজন নিঃসন্দেহে একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। চাটমোহরে গুণীজনের চাষাবাদ হয়। এটাকে ধরে রাখতে এমন আয়োজন আরও হওয়া দরকার। নতুন প্রজন্মের মাঝে মেধাকে বের করে আনতে এমন আয়োজন ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন তিনি।
ছবি : প্রতিনিধি
কবি নাট্যকার হাফিজ রেদু বলেন, বিত্ত বৈভব বিলাসিতার স্রোতে ভাল অনেক কিছু থেকে আমরা ক্রমান্বয়ে দূরে সরে যাচ্ছি। সেই ভাবনা থেকে মানুষকে কবিতা সাহিত্যের কাছাকাছি আনতে, মানুষের চিত্তকে বিকশিত করতে এই উদ্যোগ ভূমিকা রাখবে।
সঙ্গীত শিল্পী মঞ্জু রশিদ বলেন, আমরা যারা নগরে থাকি তাদের মানসিক উৎকর্ষ সাধনের অনেক সুযোগ রয়েছে। কিন্তু আমাদের শেকড় গ্রামে যারা থাকেন তারা সেভাবে সেটি পাননা। গ্রামেও অনেক প্রতিভা থাকে। তারা সেই প্রতিভা ও সংস্কৃতির আকাঙ্খা বিকশিত করার সুযোগ পায় না। আমরা সেটিকে আরেকটু বিকশিত করতে চাই। এই ভাল লাগা থেকে, এমন আয়োজন থেকে প্রাণশক্তি পাই। আবার গ্রামে আসার টান অনুভব করি। আজ আমাদের সংস্কৃতির দৈন চলছে, বিক্ষিপ্ত সংস্কৃতিবোধের জায়াগা নিম্নগামী হচ্ছে। সেখান থেকে উত্তরণের ক্ষীণ আশা জাগিয়ে তুলবে এমন আয়োজন।
আয়োজক আব্দুর রশিদ বলেন, আমাদের বাংলা সাহিত্যের সব উপাদান ছড়িয়ে আছে গ্রামবাংলায়। রবীন্দ্রনাথ বারবারই বলছেন, গ্রামই হলো ভারতবর্ষের প্রধান ভিত্তি। শিল্প সাহিত্য সঙ্গীত, চিত্রকলা সহ সংস্কৃতির যত উপাদান আছে, তার সবই গ্রাম কেন্দ্রীক গড়ে ওঠা। আমরা যখন নাগরিক হচ্ছি, তখন গ্রামকে নিঃস্ব করে নগরে যাচ্ছি। নগরে গিয়ে আমরা আরেক নিঃস্বতার মধ্যে পড়ে যাচ্ছি। এজন্য আমাদের শিল্প সাহিত্যের চেতনাকে গ্রামে প্রজ্জলিত করে রাখার উদ্দেশ্যে এই আয়োজন।
সালাউদ্দিন/সাএ
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]

পাঠকের মন্তব্য: