হিরো আলমকে জিততে দেয়নি সরকার: সাকি

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, সরকার সদ্য অনুষ্ঠিত ছয়টি আসনের উপ-নির্বাচনও ন্যূনতম গ্রহণযোগ্য করতে পারেনি। উত্তরবঙ্গে হিরো আলম দাঁড়িয়েছিলেন। মানুষ আগ্রহী হয়ে ভোট দিয়েছিল। তাকে স্যার বলতে হবে, এটা প্রশাসনের লোকেরা মানতে পারলো না। তাই হিরো আলম জিতলেও, তাকে জিততে দেওয়া হয়নি। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চের আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।

সরকারের সমালোচনা করে সাকি বলেছেন, আপনাদের (সরকার) স্মার্টনেস মানে চাতুরি করা, আপনাদের স্মার্টনেস মানে মানুষের চোখে ধুলো দেওয়া, আপনাদের স্মার্টনেস মানে ভোট চুরি করে ‘ইহাই গণতন্ত্র’ এটা মানুষকে বলা। সর্বশেষ উপ-নির্বাচনই তার প্রমাণ। কাজে উন্নয়ন ও স্মার্ট বাংলাদেশের স্লোগানে জনগণ আর বিভ্রান্ত হবে না।

তিনি বলেন, কথা ছিল ২০১৪ সালের মধ্যে বৃহৎ বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি করা হবে। এই বৃহৎ বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো যখন বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে, তখন আর ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের আর কোনো দরকার হবে না। কিন্তু সরকার ভাড়া করা বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ না করে, তাদের বসিয়ে রেখে ক্যাপাসিটি চার্জ দিচ্ছে।

সাকি বলেন, সরকার গত কয়েকদিন আগে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। এর ১৯ দিন আগে একবার বাড়ানো হয়েছিল। আগামী মাসে তারা আবার বিদ্যুতের দাম বাড়াবে। দেশের যেসব মানুষ খেতে পায় না তাদের ঝোলা থেকে টাকা নিয়ে সরকার তাদের আত্মীয়-স্বজন, ভাই-ব্রাদারদের পকেট ভরানোর ব্যবস্থা করছে। এই হলো উন্নয়ন।

তিনি জনগণের প্রতি উন্নয়ন আর স্মার্ট বাংলাদেশের চক্রান্তে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা (জনগণ) রাজপথে নামেন। গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকারের জন্য, দেশকে বাঁচানোর জন্য ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলুন।

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন- নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ও আকাশ পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ঢাবির সাবেক ভিপি নুরুল হক।