ফরিদপুরে স্পিডবোট দুর্ঘটনার তিনদিন পরে দু'জনের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১১:২১ পিএম

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলায় পদ্মায় স্পিডবোট দুর্ঘটনার তিনদিন পর আরও দুজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত পদ্মা নদীর দুর্ঘটনাস্থলের আশেপাশে এ উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে ঢাকা, ফরিদপুর ও চরভদ্রাসন ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল অংশ নেয়।

এ সময় গাজিরটেক ইউনিয়নের চর অযোধ্যা তেলিডাঙ্গীর কুদ্দুস খন্দকারের ছেলে রানা খন্দকার (২২) ও ফরিদপুর সদরের হাট গোবিন্দপুর এলাকার মো. কাইয়ুম আলী মৃধার ছেলে মো. দাউদ মৃধার (৩৮) মরদেহ উদ্ধার করে ডুবুরি দলের সদস্যরা। উদ্ধার অভিযান শেষে রাতেই ইউএনও তানজিলা কবির মরদেহ দুটির পরিচয় শনাক্ত করে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেন।

এছাড়াও দুর্ঘটনায় ফরিদপুর পৌরসভার জয় গোপাল গোস্বামীর ছেলে বলরাম গোস্বামী, চরভদ্রাসন সদরের ফাজেল খার ডাঙ্গী গ্রামের চান মিয়ার ছেলে শহিদুল ইসলাম ও আকটেরচর ইউনিয়নের মনিকোঠা বাজার সংলগ্ন এলাকার খোকন নামে অপর এক ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছে বলে দাবি করেছে তাদের পরিবার।

ইউএনও তানজিলা কবির বলেন, আপতত নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে পাঁচ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। পরে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে আরও সহযোগিতা করা হবে। তিনি বলেন, উদ্ধার অভিযানে ডুবুরি দলকে ঝাউকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান, পুলিশ সদস্য ও স্থানীয়রা সহযোগিতা করেছে।

এদিকে রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে ঢাকার দোহার ও চরভদ্রাসন উপজেলার চর ঝাউকান্দা ইউনিয়নের পদ্মা নদীতে দুটি স্পিড বোটের মুখোমুখি সংঘর্ষে উল্টে যায়। এতে ফরিদপুরের গুহলক্ষ্মীপুর এলাকার শুকুমার হালদার (৬৫) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তিনি ওই এলাকার শিরিশ হালদারের ছেলে। এ ঘটনায় কয়েকজন আহত এবং বেশ কয়েকজন নিখোঁজ ছিলেন।

স্থানীয়রা জানায়, গত শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল থেকে ফরিদপুরের বিভিন্ন স্থান থেকে দোহার উপজেলার ঐতিহ্যবাহী নুরুল্লাহপুরের মেলায় যান ভক্ত ও দর্শনার্থীরা। তারা সারারাত মেলা উপভোগ করে রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে মৈনুট ঘাট থেকে স্পিড বোটে ওঠে। স্পিড বোটটি দোহার ও চরভদ্রাসন শেষ সীমানায় পৌঁছালে অপর দিক থেকে আসা খালি একটি স্পিড বোটের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এ সময় বোট দুটি উল্টে সবাই নদীতে ডুবে যায়। পরে কাছে থাকা অপর একটি স্পিড বোট ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়।

এ সময় গুরুতর আহত অবস্থায় শুকুমার হালদার ও মো. মতিউর রহমানকে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক শুকুমারকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত মতিউর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: