‘পানি খাও, আর গোল দিও না’- শামসুন্নাহারকে অনুরোধ ভুটান ফুটবলারদের

বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২০ নারী দলের ভরসার প্রতীক হয়ে উঠেছেন শামসুন্নাহার জুনিয়র। মাঠের খেলায় নজর কেড়েছে কলসিন্দুরের এই মেয়ে। শুধু বাংলাদেশের খেলোয়াড়রাই নয়, প্রতিপক্ষরাও শামসুন্নাহারের খেলায় মুগ্ধ হয়েছেন। লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে ভুটানের খেলোয়াড়রা শামসুন্নাহারের অসাধারণ হ্যাটট্রিকের পর তার সঙ্গে গল্প করছিলেন, ছবি তুলছিলেন।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ছবি তোলা গল্প করা নিয়েই কথা বলেছেন। প্রশ্নের উত্তরে শামসুন্নাহার যা বললেন তাতে, সংবাদ সম্মেলন কক্ষে হাসির রোল পড়ে গেল! কমলাপুর স্টেডিয়ামে ভুটানকে ৫-০ গোলে হারানোর ম্যাচে হ্যাটট্রিক উপহার দেন অধিনায়ক শামসুন্নাহার। হ্যাটট্রিকের পথে ২৯তম মিনিটে প্রথম গোলটি করেন শামসুন্নাহার। উন্নতি খাতুনের কর্নারে গোলমুখ থেকে হেডে লক্ষ্যভেদ করে এই ফরোয়ার্ড।
এরপর ৫৩তম মিনিটে শাহেদা আক্তার রিপার ক্রস ধরে গায়ের সঙ্গে সেঁটে থাকা ডিফেন্ডারকে গতির তোড়ে পেছনে ফেলে নিখুঁত শটে করেন দ্বিতীয় গোলটি। ৬১তম মিনিটে শামসুন্নাহার পূরণ করেন হ্যাটট্রিক। সতীর্থের লম্বা ক্রসের পেছনে ছোটা শামসুন্নাহারকে আটকাতে বক্সের বাইরে বেরিয়ে এসেছিলেন ভুটান গোলরক্ষক। এক টোকায় তার পাশ দিয়ে বল বের করে নিয়ে ফাঁকা পোস্টে বল জালে পাঠিয়ে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ঠিক এরপরই ঘটে মজার সেই ঘটনা।
সেই ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে শামসুন্নাহার বলেছেন, 'শেষ দিকে ওদের তিন জন খেলোয়াড় আমার কাছে আসে এবং বলছিল পানি খাও। আমি বলছি, পানি খাব না। ওরা বলে পানি খাও, আর গোল দিও না (হাসি)। পরে আমি পানি খাইছি। খেলার পর ওরা এসে বলেছে, তোমার বিগ ফ্যান আমরা। তোমার খেলা দেখে ফ্যান হয়ে গেছি। তোমার চুলের স্টাইল ভালো লেগেছে। ফেইসবুক নাকি ইনস্টাগ্রাম কোনটা চালাই এসব জানতে চেয়েছে। ওদের সঙ্গে ছবি তুলেছি।'
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]

পাঠকের মন্তব্য: