ত্রিশালে লড়াই হবে সেয়ানে সেয়ানে

প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:০২ এএম

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-৭ ঐতিহ্যবাহী ত্রিশাল উপজেলায় সংসদ সদস্য (এমপি) হিসাবে নতুন মুখ দেখতে চাইছেন এলাকার মানুষ। জানা যায়, ২০২৩ সালের শেষ কিংবা ২০২৪ সালের শুরুতে বাংলাদেশের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এর প্রত্যাশা। ত্রিশালে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিতে এবার নতুন মুখ চায় উভয় দলের নতুন প্রজন্মের বৃহৎ অংশ।

নতুন প্রার্থী হিসাবে ইতোমধ্যে আলোচনায় এসেছেন তারা। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন এবার এমপি হিসাবে জোড়ালো প্রার্থী হচ্ছেন প্রচারে সদাব্যস্ত তার সমর্থকরা। বলছেন, এমপির মনোনয়ন চাইবেন তারা। অপরদিকে উপজেলার প্রত্যন্ত ইউনিয়ন পর্যায়ে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে আছেন ত্রিশাল পৌরসভার মেয়র আনিছুজ্জামানের আনিছ। তার প্রচার সর্বত্র। তিনি ত্রিশাল পৌরসভার তিন বারের মত নির্বাচিত মেয়র ও ত্রিশাল উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি। প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দল বিএনপিতে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে আছেন ডাঃ মাহাবুবুর রহমান লিটন।

লোকমুখে শোনা যায়, মেয়র আনিছ ও ইকবাল হোসেন দুজনের মধ্যে যে কেউ এমপি হিসাবে দলীয় মনোনয়ন পেলে তারা বিপুল ভোটে জয়ী হতে পারবেন। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতি বিজড়িত প্রাচীন ঐতিহ্যের ময়মনসিংহ-৭ ত্রিশাল সংসদীয় আসন একটি পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত।

জানা যায়, ইতোপূর্বে ১১টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সাতবার, বিএনপি দুইবার ও জাতীয় পার্টি দুইবার জয়ী হয়। আওয়ামী লীগের শক্তিশালী ঘাঁটি এই আসন। তন্মধ্যে একনব্বইয়ে বিএনপি’র আবদুল খালেক, ৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে বিএনপি’র মাহবুব আনাম, ১৯৯৬ সালের ১২ই জুনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হাফেজ রুহুল আমিন মাদানী, ২০০১ সালে আওয়ামী লীগের আব্দুল মতিন সরকার, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের এডভোকেট রেজা আলী এবং ২০১৪ সালে মহাজোটের শরিক দল জাপাকে আসনটি ছেড়ে দেয়ায় জয় পান জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য এমএ হান্নান এবং একাদশ সংসদ নির্বাচনে হাফেজ রুহুল আমিন মাদানী নির্বাচিত হয়ে বর্তমানে এমপি আছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এ আসনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র হিসাবে দুই ডজনেরও বেশি মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন।

লড়াই-সংগ্রাম ও রাজপথের আন্দোলনে বিএনপি’র দলীয় কার্যক্রম ঢিমেতালে হলেও পিছিয়ে নেই তারাও। নির্বাচন সামনে রেখে হারানো এই আসন পুনরুদ্ধারে অনেকটাই কোমর বেঁধে মাঠে রয়েছে ডাঃ মাহাবুর রহমান লিটন ও তার সমর্থকরা। আওয়ামী লীগ-বিএনপি ও জাতীয় পাটি এবার লড়াই হবে শেয়ানে শেয়ানে। জাতীয় পার্টিও পিছিয়ে নেই হারানো আসন উদ্ধারে। তবে ত্রিশাল উপজেলা জাতীয় পার্টি সাবেক সভাপতি, জেলার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোঃ সুরুজ আলী মন্ডলও কোমর বেঁধে মাঠে রয়েছে।

এবার প্রার্থী আলোচনায় আছেন, হাফেজ মাওলানা রুহুল আমীন মাদানী এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মতিন সরকার, ত্রিশাল পৌরসভার মেয়র এবিএম আনিছুজ্জামান আনিছ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম ও সাধারণ সম্পাদক জননেতা ইকবাল হোসেন, ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট জালাল উদ্দিন খান, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নবী নেওয়াজ সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আনোয়ার হোসেন আকন্দ, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এএনএম শোভা মিয়া আকন্দ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডিজিএম হাবিবুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আহাম্মদ আলী আকন্দ, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম মন্ডল, সাবেক ছাত্র ও যুব নেতা মোঃ কামাল হোসেন মনোনয়ন চাইবেন।

২০০৮ সালে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও ২০১২ সাল থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়কের দায়িত্বে ছিলেন এডভোকেট রেজা আলী। হাফেজ মাওলানা রুহুল আমিন মাদানী এমপি ত্রিশালের প্রত্যন্ত অঞ্চলে রাস্তাঘাট, মসজিদ-মাদ্রাসা ও স্কুলের ব্যাপক উন্নয়ন করায় দলের বাইরেও তার ব্যক্তি ইমেজের ভোটব্যাংক রয়েছে। নেতাকর্মীরা বলেন, মাদানী এমপি ত্রিশালে যে উন্নয়ন হয়েছে দলীয় মনোনয়ন পেলে মানুষ ভোট দিয়ে প্রতিদান দিবে। এমপি মাদানী বলেন, দলীয় জরিপের কাজ বেশ কয়েকবার হয়েছে। এলাকার মানুষ আমার পক্ষে সমর্থন দিয়েছে। আবারও মনোনয়ন পেলে আসনটি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দেবো ইনশাআল্লাহ।

আব্দুল মতিন সরকার ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে বিএনপি’র প্রার্থীকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। একাদশ নির্বাচনে তাকে মনোনয়ন দেয়ার অনুরোধ জানান দলীয় সভাপতিকে। তিনি বলেন, ইতোপূর্বে বহিরাগত লোক এমপি হওয়ার কারণে ত্রিশালে কোনো উন্নয়ন হয়নি। স্থানীয় যোগ্য নেতৃত্বের অধিকারী ব্যক্তিকে মনোনয়ন দিলে একদিকে যেমন দল লাভবান হবে, আবার ত্রিশালবাসীর প্রত্যাশাও পূরণ হবে। এদিক থেকে মনোনয়নের ব্যাপারে তিনি শতভাগ আশাবাদী। দল তাকে মনোনয়ন দিলে তিনি এ আসনটি উপহার দিতে পারবেন এবং ত্রিশালের ব্যাপক উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবেন।

ত্রিশাল উপজেলা যুবলীগ সাবেক সভাপতি এবিএম আনিছুজ্জামান আনিছ তিনবার ত্রিশাল পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন। তিনি বলেন, ২০১১ সালে আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হই এবং ২০১৬ সালে এবং গত নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়েও জনগণের চাপের মুখে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে বাধ্য হই এবং ব্যাপক প্রতিকূলতার মাঝেও বিপুলভোটে মেয়র নির্বাচিত হই।

আনিছ বলেন, জনমতের ভিত্তিতে এ পর্যন্ত যত জরিপ হয়েছে তাতে আশা করি, সব জরিপেই আমার নাম এক নম্বরে আছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ একটি বিশাল পরিবার। এখানে নেতৃত্বে কোন্দল থাকতেই পারে। আমি নিবার্চিত হলে ১২টি ইউনিয়নকে আমার পৌরসভার মতো সুন্দরভাবে সাজাতে চাই। বৃহত্তর স্বার্থে, দেশের স্বার্থে, দলের স্বার্থে আমার নেত্রী যা সিদ্ধান্ত নেবেন, আমি তার কর্মী হিসেবে তা মেনে নেবো। আশা করি নৌকা প্রতীক পেলে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবো, ইনশাআল্লাহ।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জননেতা ইকবাল হোসেন বলেন, স্বচ্ছতা-গ্রহণযোগ্যতার প্রশ্নে দলের প্রতি আনুগত্যশীল এবং সৎ মানুষ হিসেবে মনোনয়ন পাই এটাই আমার প্রত্যাশা। আমি কখনও দলের সিদ্ধান্তের বাইরে অবস্থান নেয়নি। দলীয় কোন্দল যা আছে আমি মনোনয়ন পেলে এখানে তা থাকবে না। ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল হক সবুজ বলেন, ত্রিশাল আওয়ামী লীগ কয়েক ভাগে বিভক্ত। এখানে একজন মনোনয়ন পেলে বঞ্চিতরা বিরোধিতা করবে। সে দৃষ্টিকোণ থেকে আমার কোনো বদনাম নেই। আমার নিজস্ব একটি ভোটব্যাংক আছে। সেদিক থেকে আমি একজন যোগ্য প্রার্থী।

এছাড়াও উপজেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি সুরুজ আলী মন্ডল ইতোপূর্বেও জনসংযোগ করেছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডিজিএম হাবিবুর রহমান খান বলেন, ক্লিন ইমেজের প্রার্থী হিসেবে ত্রিশালবাসীর কাছে আমার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।

উপজেলা বিএনপি সাবেক সভাপতি, ময়মনসিংহ দঃ জেলা বিএনপির আহবায়ক ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. মাহবুবুর রহমান লিটন, উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে নির্বাচিত সাবেক এমপি আবদুল খালেকের মৃত্যুর পর ডা. মাহবুবুর রহমান লিটন ত্রিশাল বিএনপি’র হাল ধরেন। ২০০৮ সালে দলের মনোনয়ন পেয়েও নির্বাচনে হেরে যান। উপজেলা বিএনপি সভাপতি ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. লিটন বলেন, আমি জেলা দঃ বিএনপির দায়িত্বপ্রাপ্ত হিসেবে নেতৃত্ব দিয়ে আসছি। তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায় সরকারের অধিনে নির্বাচন হলে আমি এমপি হিসাবে নির্বাচিত হব ইনশাল্লাহ। আমিই নই এখানে মনোনয়ন ধানের শীষের যেই পাক তিনিই জয়লাভ করবেন। দল যাকে মনোনয়ন দেবে ঐক্যবদ্ধভাবে তার পক্ষে আমরা নির্বাচন করবো। আমাদের দলীয় কোনো কোন্দল নেই, তবে মনোনয়ন প্রত্যাশী তো থাকতেই পারে। সেটি নিয়ে আমাদের কোনো চিন্তা-ভাবনা নেই। ত্রিশালে বিএনপি খুবই শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে।

উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন বলেন, বিএনপি’র দুঃসময়ে দলের হাল ধরেছি এবং জনগণের আস্থা, বিশ্বাস আর ভালোবাসায় তাদের ভোটে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করায় মানুষ আমার প্রতি সন্তুষ্ট। দলকে সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। দল আমাকে মনোনয়ন দেবে বলে আশাবাদী। তবে দল যাকে মনোনয়ন দেবে, তার পক্ষেই কাজ করবো। এছাড়া উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপজেলা বিএনপি’র সদস্য আমিনুল ইসলাম আমিন সরকারও মনোনয়ন পেতে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

জোট-মহাজোটের আসন ভাগাভাগির বিচারে অনেকটাই সুবিধাজনক অবস্থানে বর্তমান প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। ত্রিশাল উপজেলা জাতীয় পার্টি সাবেক সভাপতি, জেলার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোঃ সুরুজ আলী মন্ডল জানান, আমি ৯ম সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পাটির মনোনীত প্রার্থী ছিলাম। আমি মহাজোটের কারনে আসনটি ছেড়ে দিতে হলো। ত্রিশাল আসনে রওশন এরশাদ নির্বাচন করবেন। কোনো কারণে যদি তিনি এ আসনে নির্বাচন না করেন, সেক্ষেত্রে আমার নির্বাচন করার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, ময়মনসিংহের উন্নয়নে রওশন এরশাদের ভূমিকা সব আলোচনার ঊর্ধ্বে। ময়মনসিংহ শম্ভুগঞ্জ ব্রিজ, বিভাগ বাস্তবায়ন, ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড বাস্তবায়নের অবদান ছাড়াও নতুন আধুনিক উপশহর গঠনে রওশন এরশাদের রয়েছে আন্তরিক চেষ্টা।

এর আগে এ আসন থেকে নির্বাচিত জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এমএ হান্নান মানবতাবিরোধী অপরাধে জেলে থেকে মৃত্যুবরণ করেন। গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আসনটি ছেড়ে দিলে লাঙ্গল কাঁধে নিয়ে জাপার এমপি হন আলহাজ এমএ হান্নান। তার অবর্তমানে এখান থেকে জাপা কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও উপজেলা জাপার সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সুরুজ আলী মন্ডল ও উপজেলা জাতীয় পাটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম সারোয়ার তপন মনোনয়ন প্রত্যাশী।

জাতীয় সংসদের ৩৫০টি আসনের বিপরীতে ৩০০ জন সাংসদ সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হন। ৫০টি আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত থাকে। সংসদের ৩০০টি আসনের মধ্যে অর্ধেকের বেশি অর্থাৎ ১৫১টি বা তার বেশি আসনে যে দল জয়ী হন তারাই সরকার গঠন করেন। জোটগতভাবেও ১৫০টির বেশি আসন নিয়ে সরকার গঠিত হতে পারে। নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: