ভূমিকম্পে বেঁচে যাওয়া পরিবারের ৭ জন মারা গেলেন আগুনে

প্রকাশিত: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৮:৫৬ পিএম

গত সপ্তাহের শক্তিশালী ভূমিকম্প থেকে বেঁচে যাবার পরে তুরস্কের কনিয়া শরের একটি বাড়িতে আশ্রয় নেওয়া পাঁচ শিশু ও তাদের বাবা-মা আগুনে পুড়ে মারা গেছেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বাড়িটিতে আগুন লাগে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় বার্তা সংস্থা এএফপি।

একাধিক ব্রিটিশ গনমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, নিহত পরিবারটি পার্শ্ববর্তী দেশ সিরিয়া থেকে এসে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় নুরদাগি শহরে বাস করতো। গত ৬ ফেব্রুয়ারির ভূমিকম্পে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত শহরটি ছেড়ে তারা কনিয়া গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানায়, ভূমিকম্পের পর উদ্বাস্তু কয়েক লাখ মানুষের মতো সিরিয় পরিবারটি তাদের আত্মীয়দের সঙ্গে কোনিয়ায় এসেছিল।

পরিবারটির প্রতিবেশী মুহসিন কাকির আনাদোলুকে জানান, আমরা বাড়িটিতে আগুন জ্বলতে দেখেছি। কিন্তু, আমরা তা নেভাতে পারিনি। শুধু জানালা দিয়ে একটি মেয়েকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। আনাদোলু জানায়, মারা যাওয়া পাঁচ শিশুর বয়স ৪ থেকে ১৩ বছরের মধ্যে। তবে, উদ্ধার হওয়া মেয়েটি একই পরিবারের সদস্য কি না, সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তুরস্কে প্রায় ৪০ লাখ সিরিয়ান রয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকেই গত সপ্তাহের ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বাস করে।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি ভোরের দিকে সিরিয়া ও তুরস্কে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর কিছুক্ষণ পর ফের ৬ দশমিক ৭ মাত্রার আরও একটি ভূমিকম্প। এতে দেশ দুটিতে নিহতের সংখ্যা প্রায় ৪৪ হাজার। আহত লাখেরও বেশি মানুষ। নিহতদের মধ্যে তুরস্কের ৩৮ হাজার ৪৪ এবং সিরিয়ায় ৫ হাজার ৮১৪ জন। তবে জাতিসংঘের ধারণা নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে দুই দেশের ৪০ হাজারের বেশি ভবন ধসে পড়েছে। বিভিন্ন দেশের উদ্ধারকর্মীসহ বর্তমানে আড়াই লাখের বেশি কর্মী মাঠে কাজ করছে। অলৌকিকভাবে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে এখনও জীবিত প্রাণ খুঁজে পাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। সূত্র: আল জাজিরা

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: