গ্রিসে দুই ট্রেনের সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৫৭

প্রকাশিত: ০৩ মার্চ ২০২৩, ১০:৫৬ এএম

গ্রিসে দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭ জন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে। ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা এলেনি জেগেলিডো বিবিসিকে বলেন, শনাক্তকরণের জন্য ৫৭টি লাশ থেকে ডিএনএ নমুনা নেওয়া হয়েছে। এদিকে দুর্ঘটনার জন্য সরকারি গাফিলতিকে দায়ী করে বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) একদিনের ধর্মঘট করেছেন রেলকর্মীরা। একই অভিযোগ তুলে এথেন্স ও থেসালোনিকিতে বিক্ষোভ করেছেন দুই হাজারেরও বেশি মানুষ।

বিক্ষোভকারীদের মধ্যে একজন স্ট্যাভ্রস নান্টিস বলেছেন, আমরা প্রতিষ্ঠানের প্রতি, বর্তমান ও অতীতের সরকারগুলোর ওপর ক্ষুব্ধ। তারা গ্রীক রেলওয়ের অবস্থার উন্নতির জন্য কিছুই করেনি। দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনের বগিতে এখনও উদ্ধার অভিযানে চালাচ্ছে কর্মীরা। তারা পোড়া ও বাঁকানো বগির ভেতরে ক্ষতিগ্রস্তদের খোঁজ করছেন।

উদ্ধারকর্মী কনস্টান্টিনোস ইমানিমিডিস বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, এটি ‘সবচেয়ে কঠিন মুহূর্ত’। কারণ ‘আমাদের এখনও মরদেহের খোঁজ করতে হবে’। এদিকে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনার দায় নিয়ে পদত্যাগ করেছেন গ্রিসের অবকাঠামো ও পরিবহনমন্ত্রী কোস্টাস কারামানলিস। স্থানীয় সময় বুধবার (১ মার্চ) দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন।

এ সময় কোস্টাস কারামানলিস বলেন, ‘এমন মর্মান্তিক ঘটনা যখন ঘটেছে, তখন কিছু না ঘটার ভান করে কাজ চালিয়ে যাওয়া আমার পক্ষে সম্ভব না। আমি এ ব্যর্থতার দায় নিচ্ছি। একইসঙ্গে মন্ত্রীর পদ ছেড়ে দিচ্ছি। ’ অন্যদিকে এ দুর্ঘটনার জন্য মানবিক ত্রুটিকে দায়ী করেছেন গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোটাকিস।

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে গ্রিসের লারিসার পাশে যাত্রী ও পণ্যবাহী দুটি ট্রেনের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এথেন্স থেকে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন উত্তরাঞ্চলীয় শহর থেসালোনিকির দিকে এবং থেসালোনিকি একটি পণ্যবাহী ট্রেন লারিসের দিকে যাচ্ছিল। একপর্যায়ে গভীর রাতে লারিসার কেন্দ্রীয় শহরের বাইরে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: