স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের একাল-সেকাল

প্রকাশিত: ০৬ মার্চ ২০২৩, ০৯:১৯ পিএম

সিলেট বিভাগের হাওরাঞ্চলের বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে জুয়েলারি শিল্পের বর্তমান অবস্থা, এবং স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের একাল ও সেকাল কেমন কাটছে। স্বর্ন ব্যবসায়ীদের এখন কেন দুর্দিন চলছে। হারিয়েছে স্বর্ণ ব্যবসা তার আগের জুলুশ। অনেক স্বর্ণ ব্যবসায়ী গুটিয়ে নিচ্ছেন ব্যবসা।দিন দিন স্বর্ণের ব্যবসা নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে। অনেক ব্যবসা চোরাচালানি বা দাদন ব্যবসাসহ বিকল্প ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছেন। মফস্বল শহর গুলোতে মানা হচ্ছে না বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) নীতিমালা। স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা তাদের মনগড়া নীতিমালা অবলম্বন করছেন। আগেকার দিনে গ্রামাঞ্চলের প্রতিটি বাজারে স্বর্ণাকারে দোকান ছিলো। এখন অনেক গ্রামের বাজারে স্বর্ণাকারের দোকান নেই। মফস্বল শহরের বেশিভাগ স্বর্নাকার জড়িয়েছেন দাদন ব্যবসার সাথে। তাদের কাছে এখন প্রধান্য পাচ্ছে দাদন ব্যবসা। এসব বিষয় নিয়ে সিলেট বিভাগের হাওরাঞ্চলের স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সার্বিক অবস্থা তুলে ধরতে সরজমিন কথা হয় হাওর খ্যাত হবিগঞ্জ জেলা বিভিন শ্রেণীর স্বর্ন ব্যবসায়ীদের সাথে।

নবীগঞ্জ উপজেলা বাজুসের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আশিক মিয়া বলেন,বর্তমানে আমাদের মফস্বল শহরে স্বর্নের বাজার খুবই মন্দা ভাব। আমাদের এখন সনাতন স্বর্ন কেউ কিনতে চায় না। সবাই ২২/২১ ক্যারেট চায়, আধুনিক পদ্ধতি মেশিনের সাহায্যে স্বর্ণালংকার বানাতে চায়, তাই সনাতন স্বর্নাকারদের দুর্দিন চলছে। কেউ কেউ ভূর্তুকি দিতে না পেয়ে বিকল্প ব্যবসায় জড়িয়ে গেছেন। নবীগঞ্জে অনেক স্বর্ন ব্যবসায়ী এখন স্বর্ন ব্যবসার অন্তরালে দাদন ব্যবসা করছেন এটা অস্বীকার করা যাবে না।তবে সবাইকে সাবধান হতে হবে।দেশিয় স্বর্ণের প্রতি ক্রেতাদের বিমুখ হওয়ার কারনে সবাই হতাশ।

নবীগঞ্জের বাজুসের সভাপতি সাধন বনিক বলেন, সবাইকে নীতিমালা অনুসরণ করে ব্যবসা করতে হবে। সঠিকভাবে ব্যবসা করলে প্রশাসনও আপনাদের বিরক্ত করবে না। আমরা ভ্যাট, ট্যাক্স দিয়ে বৈধভাবে ব্যবসা করবো। তিনি বলেন, আগে সনাতন পদ্ধতি স্বর্নালংকার বানানোর জন্য স্বর্নাকার অনেক ভাবে লাভবান হতেন। প্রতি বছর কয়েক লক্ষ টাকার স্বর্নের ছাই বিক্রি হতো,এই ছাই থেকে রিফাইনারিং করে স্বর্ন পাওয়া যেতো। এখন মেশিনের সাহায্য সব কিছু করার জন্য স্বর্নাকারদের ছাই ব্যবসা নেই। তাই সনাতন পদ্ধতির স্বর্নাকার যারা ছিলেন তাদের করণীয় কিছুই নেই বিকল্প ব্যবসা ছাড়া।

হবিগঞ্জ জেলা বাজুসের সভাপতি সমিরণ বনিক বলেন, স্বর্ন ব্যবসায়ীদের আগের দিন নেই। কেউ দেশী স্বর্ন কিনতে চায় না।সবাই আধুনিক পদ্ধতিতে ব্যস্ত। যারা ভালো ব্যবসা করছে তাদের অনেক রমরমা অবস্থা আবার যারা খারাপ যাচ্ছে তাদের খুবই দুর্দিন যাচ্ছে, ঘর ভাড়াই উঠে না।তবে সারাদেশের স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের নতুন করে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর। তিনি দেশের প্রতিটি উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন করে স্বর্ন ব্যবসায়ীদের সংগঠিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তিনি স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের হাত শক্ত হাতে আকড়ে ধরেছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির (বাজুস) হবিগঞ্জের নেতারা। বাজুস প্রেসিডেন্টের পরিকল্পনা ও নেতৃত্ব বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের তৈরি স্বর্ণ লিড দেবে বলে এ সময় তারা অভিমত প্রকাশ করেন।

হবিগঞ্জ বাজুসের সাধারণ সম্পাদক বিজু বনিক বলেন, এখন আর কেউ সনাতন পদ্ধতিতে স্বর্ন বানাতে চায় না। সবাই ২২ ক্যারেট নিয়ে স্বর্ন বানাতে চায়। তাই সনাতন পদ্ধতি যারা স্বর্নের ব্যবসা করেন তাদের খুবই দুর্দিন যাচ্ছে। অনেকেই স্বর্নের ব্যবসা ছেড়ে দিচ্ছেন, কেউ কেউ বিকল্প দাদন ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছেন। বাজুসের রেইড অনুয়ায়ী স্বর্ন বিক্রি করতে পারি না। তারা ধরে ৯১ হাজার টাকা আমরা বিক্রি করি ৮৪ হাজার টাকা। তারা ভ্যাট টেক্স মজুরী সহ এক সাথে ধরেন। আমরা আলাদা রেইড ধরি।

তিনি আরও বলেন,বাংলাদেশ জুয়েলারী সমিতির কেন্দ্রীয় ভাবে সায়েম সোবহান আনভীর বাজুসের নেতৃত্বে আমাদের স্বপ্নদ্রষ্টা। তিনি আমাদের নতুন করে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। তিনি আমাদেরকে বলছেন,এক সময় দেশ থেকে বিদেশে স্বর্ণ রফতানি করা হবে। আগামীতে দেশীয় রিফাইনারি স্বর্ণের ডিলার দেওয়া হবে। তখন স্বর্ণ কিনতে হলে বাজুস নম্বর দেখাতে হবে। তাই সমিতির বাইরে কেউ ভিন্ন পন্থায় ব্যবসা করতে পারবেন না। আমরা বাজুসের ৯টি উপজেলা কমিটি গঠন করে তাদেরকে নীতিমালা জানিয়ে দিয়েছি। কেউ বাজুসের নীতিমালা বহির্ভূত স্বর্ণ বা চোরাই স্বর্ণ বিক্রি করলে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে। সঠিক পন্থায় ব্যবসা করলে প্রশাসনের কোনো সুযোগ নেই বিরক্ত করার।

হবিগঞ্জ পৌর বাজুসের সাধারণ সম্পাদক সৌরভ বনিক বলেন, কিছু সংখ্যক লোক বাইরে থেকে চুরির মাল কিনে, এরা এক শতাংশও না। যে অলঙ্কার বিক্রয় করতে আসবে, তার কাছ থেকে অন্তত মেমো চাইবেন, নয়তো কোনো ডকুমেন্টস রাখবেন। স্বর্ণ কিনলে মেমোর ওপর লেখা থাকবে খরিদ মেমো। তখন কেউ কোনো ঝামেলা করলে দায় কেন্দ্রীয় কমিটি নেবে।

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি বাজারে স্বর্ন ব্যবসায়ী ফনি ভূষণ রায় বলেন, আমাদের গ্রামাঞ্চলে আগের মতো স্বর্ন ব্যবসা নেই। বিদেশীরা যে স্বর্ন নিয়ে আসেন, সেই স্বর্ন দিয়ে অলংকার গুলো বেশি হয় গ্রামের বাজারে। আগেকার দিনে বাপ দাদার স্বর্ন ব্যবসা করে বাড়ি ঘর বাসা করছেন এখন পরিবার চালানো মুশকিল হয়। তাই আমাদের এলাকার অনেকেই এখন স্বর্নাকারের কাজ ছেড়ে দিচ্ছেন।তবে এখন আর নকল স্বর্নের ব্যবসা নেই,তাই ক্রেতাদের টকানোর কোন পদ্ধতি নেই। সরকার যদি গ্রামাঞ্চলের স্বর্ন ব্যবসায়ীদের ভুর্তুকি দিলে ঠিকে থাকা সম্ভব আর না হয় পেশা বদল করতে হবে। কারন শহরের স্বর্ন ব্যবসায়ীরা রমরমা ব্যবসা করছেন, মানুষ এখন শহর মুখি, কেউ গ্রামের দোকান থেকে স্বর্ন কিনতে চায় না।

স্বর্ন ব্যবসায়ী নিখিল রঞ্জন রায় বলেন, গ্রামের স্বর্ন ব্যবসায়ীদের অবস্থা অনেক বেহাল তাই সবাই বিকল্প ব্যবসায় জড়িয়েছেন। সরকার যদি স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের বিশেষ কোন ঋণের ব্যস্থা করতো তাহলে গ্রামের বাজার গুলোর স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা বেঁচে যেতেন। আমাদের খুবই বেহাল দশা যাচ্ছে।

হীরাগঞ্জ বাজারের এসডি জুয়েলার্সের সুনিল দেব নাথ বলেন, আমাদের একাল আর সেকাল রাত দিন তফাৎ আমরা এখন ব্যবসা ছেড়ে দিবো। সারাদিন বসে থেকেও একটি কাজ পাই না। আগের বছরে কয়েক বস্তা ছাই বাহির হতো সেটা বিক্রি করেই চলে যেতো সারা বছরের ঘর ভাড়া আর খাওয়া দাওয়া এখন এক টাকার ছাই বাহির হয়, কেউ আর সনাতন পদ্ধদিতে অলংকার বানাতে আসে না। তাই স্বণৃ পুড়ানো ছাই বাহির হয় না তাই বাপ দাদার ব্যবসা এখন ছেড়ে দেওয়ার চিন্তা করছি।

বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ডিস্ট্রিক্ট মনিটরিং সদস্য নিহার কুমার রায় বলেন, কত পারসেন্ট লাভে বিক্রি করবেন সেটাও নির্ধারণ করে দেবে বাজুস। মজুরি নির্ধারণ করে দেবে কেন্দ্র। তাই সদস্য ছাড়া কেউ আগামী দিনে স্বর্ণ ব্যবসা করতে পারবেন না। সদস্যদের তখন আইডি কার্ড দেবে বাজুস। সার্টিফিকেট ছাড়াও প্রতিটি দোকানে ট্রেডমার্ক দেওয়া হবে।

বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন সুনামগঞ্জ ডিস্ট্রিক্ট মনিটরিং সদস্য নিহার কুমার রায় বলেন, বাজুস প্রেসিডেন্ট একটি বড় ছাতা বনিয়েছেন। সেই ছাতার নিচে সবাইকে আসতে হবে। আমাদের সবাইকে এক হতে হবে। আমরা উপজেলা পর্যায়েও কমিটি করে দেব। তখন একজনের সমস্যা হলে জেলা-উপজেলা এমনকি কেন্দ্রীয় কমিটিও এগিয়ে আসবে। তখন বাজুস দাম নির্ধারণ করে দেবে। বাজুস কেন্দ্রের জন্য নয়, সারা দেশের ব্যবসায়ীদের কথা চিন্তা করে স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করে দেয়। কমিটি গঠন করলে মনিটরিং করা যাবে। তখন কমিটিতে গলদ থাকলে আপনারই ব্যবস্থা নিতে পারবেন। ব্যবসার উন্নয়নে স্বর্ণ ব্যবসায়ী হিসেবে আমাদেরই পদক্ষেপ নিতে হবে।

মা জুয়েলারীর ব্যবসায়ী ফনি ভুষণ রায় বলেন, সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা বিপদে পড়েন। তাই আমাদের একটি প্লাটফর্মে থাকতে হবে। আমরা বাজুসের সদস্য পদের জন্য আবেদন করেছি। আমাদের সুসংগঠিত হয়ে ব্যবসা করতে হবে। সমিতি যে দর দেবে, সে অনুপাতে বিক্রি হবে। তাতে ব্যবসার মান ঠিক থাকবে।

বাহুবলের স্বর্ণ ব্যবসায়ী সৃষ্টি বনিক বলেন, আমরা ট্যাক্স দিয়ে ব্যবসা করলেও প্রশাসনের সহযোগিতা পাই না। আনভীর সোবহান সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর আমরা উজ্জীবিত। পাশাপাশি তার নেতৃত্বে স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা যেমন শক্তিশালী হবে, ভবিষ্যতে বাজুস আরও শক্তিশালী হবে আশাবাদী । আমাদের স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের দুর্দিন নিয়ে তিনি কেন্দ্রীয় ভাবে আলোচনা করবেন দাবি রাখছি। গ্রামের বাজার গুলোতে আগের মতো বেচাকেনা নেই, এখন হাতে বানানো স্বর্ণালংকার খুবই কম হয়। অনেকে আবার দাদন ব্যবসা নয় স্বর্ণ বন্দকী ব্যবসা করছেন। অনেকেই এই স্বর্ণ বন্ধকী ব্যবসার জন্য ঠিকে আছেন। না হয় বাড়ি ঘর বিক্রি করেও উপায় থাকতো না।

শাল্লার স্বর্ণ ব্যবসায়ী কৃষ্ণ বনিক রায় বলেন, প্রতিটি বাজার থেকে কমিটি করে মনিটরিং করতে হবে। তাহলে সব স্থানে স্বর্ণের দর একই থাকবে। যাতে আমরা সুন্দরভাবে ব্যবসা করতে পারি। আর কেউ একক ব্যবসা করতে চাইলে তার বিরুদ্ধে তার বিরুদ্ধে বিহিত ব্যবস্থা নিতে হবে বাজুসকে।
নবীগঞ্জ বাজারে স্বর্ণ ব্যবসায়ী নিপুণ রায় বলেন, প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় স্বর্ণ আসল-নকল যাচাই করার মেশিন দিলে ভালো হয়। আমাকে চিনতে হলে যেমন নাম থাকতে হবে। তেমনি স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের পরিচয়ে জন্য সবাইকে কমিটিতে হবে। সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে এ ব্যবসা কে ঠিকিয়ে রাখা সম্ভব।

বাজুসের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান বলেন, তিনি বলেন, বাজুসের ৫০০ সদস্য থেকে আজ ৩৬ হাজার অতিক্রম করেছে। বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীরের নির্দেশে জো-উপজেলা পর্যায়ে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের কেবল একটি কাগজের দরকার হবে। আর কোনো কাগজের প্রয়োজন হবে না, সেটি হলো বাজুসের মেম্বার। কেননা আমি ভ্যাট-ট্যাক্স দেই, কোনো কিছু করতে হলে তখন আপনারাই হাজার হাজার লোক প্রতিবাদী হয়ে দাঁড়াতে পারবেন। যে কারণে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন শক্তিশালী হবে। তখন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের কোনো সদস্য বিপদে পড়লে সায়েম সোবহান আনভীর রাজপথে নেমে আসবেন। তাই তার হাতকে শক্তিশালী করতে হলে আগে জেলা-উপজেলা কমিটি করতে হবে। তাহলে বাজুস শক্তিশালী হবে, সায়েম সোবহান আনভীরের হাত শক্তিশালী হবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ এখন বহির্বিশ্ব মুখি দেশ। বাজার অর্থনীতির দিকে ছুটছে। আজকে বিদেশি স্বর্ণ দেশে এলে জুয়েলার্স, শো-রুম তখন নাই হয়ে যাবে। ব্যবসা গুটিয়ে নিতে হবে। তিনি বলেন, এ দেশের স্বর্ণ শিল্পকে বাজুস প্রেসিডেন্ট শক্ত হাতে ধরেছেন। তিনি সেটি ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিকতে নিয়ে যেতে চান। প্রধানমন্ত্রী আহ্বান জানিয়েছেন উদ্যোক্ত তৈরি করতে। তাই এ স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের হাত ধরে সোনার বাংলা গঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রীর সেই আহ্বানে বাজুস প্রেসিডেন্ট কেবল রাজধানীতে নয়, জেলায় জেলায় স্বর্ণ কারখানা গড়ে তুলতে পরিকল্পনা নিয়েছেন। তার মতে এক সময়ে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের স্বর্ণ লিড দেবে। তাই নীতিমালার আলোকে সংগঠন বাস্তবায়ন করতে হলে সরকার দ্বারা ঘোষিত সংগঠনের সদস্য হতে হবে।

পরিবেশ আন্দোলন(বাপা) হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, পরিবেশ পরিস্থিতি বদলে যাওয়ার কারনে গ্রামাঞ্চলের বাজার গুলোর মদ্যে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের চরম দুর্দিন চলছে। সরকার তারেকে ভুর্তুকি বা বিশেষ ঋণের মাধ্যামে পূর্ন জিিবত করার দরকার। শহরের কিছু নামকরা দোকান ছাড়া প্রতিটি জুয়েলালী দোকানের করুণ দশা বিরাজ করছে। অনেক স্বর্ণের দোকানে কোন মালামাল নেই, আধুনিকতায় ছুয়া লাগার কারনে বর্তমান ও সনাতন ব্যবসায়ীদের মধ্যে চরম হাহাকার বিরাজ করছে। স্বর্ণ এর বাজার মুল্য চরম আকারের বৃদ্ধি পাওয়ার মধ্যেবৃত্ত ব্যবসায়ীর রা মাথায় হাত দিয়ে বসে আসে মালামাল তুলতে পারছেন না।

হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান এবিষয়ে বলেন, স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সরকারের কোন নির্দশনা তার কাছে নেই তিনি ভুর্তুকি বিষয়ে কোন কিছু বলতে পারছেন না। তবে তিনি স্বর্ণাকারে দুর্দিনে সরকারের উদ্যোগ গ্রহনের জন্য উপর মহলে কথা বলবেন। গ্রামাঞ্চলের স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের অবস্থা এখন আর আগের তো নেই এটাই সত্যি।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: