পবিপ্রবিতে দুর্ঘটনা: আহতদের উদ্বার ও চিকিৎসায় ছাত্রলীগের সহযোগিতা

প্রকাশিত: ১৩ মার্চ ২০২৩, ০১:২৭ পিএম

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) বৈদ্যুতিক লাইনে স্পৃষ্ট হয়ে দূর্ঘটনায় শফিকুর রহমান নামের একজন শ্রমিক নিহত হয়েছে এ সময় আহত হয়েছেন আরো ৪ জন শ্রমিক। শনিবার (১১ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক মসজিদের পাশে নির্মিত ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচারাল ভবনের ছাদে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় আহত শ্রমিকদের উদ্ধার ও তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সহায়তায় প্রদান করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, পবিপ্রবি শাখার নেতা-কর্মীরা।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আরাফাত ইসলাম সাগর মুঠোফোনে বলেন, দুর্ঘটনা ঘটার ৫ মিনিটের মধ্যে আমি আমার ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। এবং আহতদের সাথে সাথে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। সেখান থেকে রাতেই বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আহতদের ভর্তি করাই। বরিশাল নিয়ে যাওয়ার পথেই শফিকুর রহমান নামের একজন শ্রমিক আমার কোলের উপরেই মৃত্যু বরন করেন। আমরা আমাদের ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে এই আকস্মিক দূর্ঘটনা মোকাবেলায় সর্বোচ্চ সহযোগীতা করার চেষ্টা করেছি। যেকোন দুর্যোগে, যেকোন সংকটময় সময়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ পূর্বের ন্যায় সজাগ ছিলো-আছে-থাকবে।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়,গতকাল রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারী) ছাদ ঢালাই দেয়ার জন্য তড়িঘড়ি করে রাতেই রড দিয়ে ছাঁদের কাজ করছিলেন শ্রমিকেরা। নিচ থেকে ছাদে রড উঠানোর সময় রডের সাথে বৈদ্যুতিক মেইন লাইনের সংযোগ হয়ে ছিটকে পড়ে ইমরান হোসেন(২৫), মোঃ মনির(২৭), শফিকুর রহমান (৩৮) সহ চার জন। তারা মারাত্মক স্পৃষ্ট হয়। এতে শ্রমিকদের প্রায় ৭০% শরীর পুড়ে দগ্ধ হয়। আহত শ্রমিকদের মধ্যে শফিকুর রহমানকে গুরুতর আবস্থায় বরিশাল নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. সন্তোষ কুমার বসুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, "আমি সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের আরো বেশি সচেতন হওয়া দরকার ছিলো। এ ধরণের ঘটনা কোন ভাবেই কাম্য নয়।"

এ বিষয়ে ঠিকাদারের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: