হেলাল হত্যা মামলার প্রধান আসামী মেয়র শাহনেওয়াজ

প্রকাশিত: ১৫ মার্চ ২০২৩, ০৬:২৭ পিএম

গুরুদাসপুরে হেলাল হত্যা মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মো. শাহনেওয়াজ আলীকে প্রধান আসামী করে ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সম্প্রতি হাট-বাজারের টেন্ডার কেনাকে কেন্দ্র করে পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু তাহেরের ওপর হামলা হয়। এর জের ধরেই চাঁচকৈড় শ্রমিক অফিসের সামনে হামলা চালানো হয়। এতে শ্রমিক হেলাল নিহত হলে তার মা হেনা বেগম বাদী হয়ে গুরুদাসপুর থানায় মেয়র শাহনেওয়াজ সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

জানা যায়, মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নাটোর জেলা ট্রাক-ট্যাংকলরী ও কাভার্ডভ্যান পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন চাঁচকৈড় শাখা অফিসের সামনে ওই অফিসের শ্রমিক হেলাল সরদারকে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। তার সাথে থাকা ছোটভাই শিশিরকেও চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে সন্ত্রাসীরা।

পালানোর সময় তোহা জামাদার নামের একজনকে আটক করে পুলিশে দেন স্থানীয়রা। হেলাল (৩৩) ও শিশির (৩০) উপজেলার খামারনাচকৈড় মহল্লার মৃত সাখাওয়াত সরদারের ছেলে। হেলালের ময়নাতদন্তের পর বুধবার বিকেল পাঁচটায় জানাজা শেষে তার লাশ খামারনাচকৈড় কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়। গুরুতর আহত শিশির রাজশাহী মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

হেলাল হত্যার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় যুবলীগ নেতা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. আলাল শেখের নেতৃত্বে গুরুদাসপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে চাঁচকৈড় বাজার পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বিপ্লব ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম সবুজ ফকির, মো. আলমগীর শেখ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। নিহত হেলালের মা হেনা বেগম তার সন্তানের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

অপরদিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী পৌর মেয়র মো. শাহনেওয়াজ আলীর বিরুদ্ধে মামলা করায় তার কর্মি সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মেয়র শাহনেওয়াজ মুঠোফোনে জানান, গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) আসনে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলাম এবং এবারো চাইব। তাই আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আমাকে মামলায় জড়ানো হয়েছে।

আওয়ামী লীগের একাংশের দাবি, নিহত হেলাল যুবলীগ ও তার ছোটভাই শিশির ছাত্রলীগের কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। কিন্তু পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ এবং উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও নাটোর জেলা পরিষদের সদস্য সরকার মেহেদী হাসান বলেন, হেলাল যুবদল করত। তার পরিবারও বিএনপির কর্মকান্ডের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত।

গুরুদাসপুর থানার ওসি মো. আব্দুল মতিন জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামী তোহা জামাদার (১৮), মো. আকাশ (২০) ও মো. তুহিন (১৯) কে বুধবার দুপুরে নাটোর কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: