‘আমার স্ত্রীর পড়নে পুরাতন একটা শাড়ি ছাড়া সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে’

প্রকাশিত: ১৬ মার্চ ২০২৩, ০৬:৫০ পিএম

বাবারে আমার গায়ে লুঙ্গী গেঞ্জী ও আমার স্ত্রীর পড়নে পুরাতন একটা শাড়ি ছাড়া সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এভাবে কান্না জড়িত কন্টে কথা বলেছেন এ প্রতিবেদকের কাছে পুড়ে যাওয়া ঘর ও দোকানের মালিক হর গোবিন্দ মল্লিক। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে উপজেলার পৌর এলাকায় আগুনে বসতঘর ও দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) ভোর ৪টায় স্থানীয় হর গোবিন্দ মল্লিক এর বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়ার ১ঘন্টার পরে আসলে এসময়ের ভিতরে আগুনে পুড়ো ঘর দোকান জ্বলে ছাই হয়ে যায়।

এদিকে আগুন লাগার পর ঘটনাস্থালে গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয়রা চাল, ডাল, টাকা দিয়ে সহযোগীতা করে আসছে। স্থানীয়রা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সহযোগীতা চেয়ে পোস্ট দিচ্ছে।

বাড়ির মালিক হর গোবিন্দ মল্লিক জানান, আমি আর আমার স্ত্রী এ বাড়িতে থাকি। আমাদের ৩টা মেয়ে ছিল তাদের বিয়ে দিয়েদিছি। কোন ছেলে সন্তান নাই। একা স্ত্রী ও আমি এ ঘরে থাকি। আমাদের ঘরের সাথে সংযুক্ত চায়ের দোকান। চা বেচে দোকান থেকে যা আয় হয় তা দিয়ে সংসার চলে দুজনের। আমাদের ঘরে যা ছিল সব পুড়ে গেছে। কিছু রইলো না। কিভাবে কি করবো কিছু বুঝতে পারছি না। কোথায় থাকবো, কি খাবো, কিভাবে সংসার চালাবো চিন্তায় এখন দিন পার করছি।

বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টায় হঠাৎ ঘরে আগুন দেখতে পেয়ে লাফ মেরে ঘর থেকে ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রীকে নিয়ে বাহিরে চলে আসেন হর গোবিন্দ মল্লিক। এসময় তিনি চিৎকার দিলে প্রতিবেশিরা এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। পরে মুহূর্তেই আগুন ঘরে ছড়িয়ে পড়লে এ সময়ের ভিতরে সব পুড়ে চাই হয়ে যায়।

কমলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশনের লিডার অজিৎ কুমার সিংহ জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা বেরিয়ে পড়ি। কিন্তু যারা আমাদের ফোন দিয়ে জানিয়েছে তারা সঠিক তথ্য দিকে পারেনি, যার কারনে সঠিক সময়ে পৌছাতে আমাদের কিছুটা সময় লাগে। তারপরও আমরা চেষ্টা চালিয়ে বসতবাড়ির আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। তবে কি কারনে আগুনের সুত্রপাত সেটা আপাদত বলা সম্ভবনয় এবং ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের ওই লিডার।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: